লাল বলের ক্রিকেটে তিনি জাতীয় দলের দরজার কড়া নাড়ছেন বেশ কিছুদিন ধরেই। সদ্য পদত্যাগ করা প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মার কাছ থেকেও মিলেছিল আশ্বাস। মিলবেই বা না কেন! রঞ্জি ট্রফিতে যে তখন রীতিমত রানের ফোয়ারা ছুটাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু অদ্ভুত কোনো এক কারণে সেই কাঙ্ক্ষিত ডাকটা আর আসেনি। ভারতের টেস্ট দলে ব্রাত্যই থাকতে হয়েছে সরফরাজ খানকে।
ধারণা করা হয়, ফিটনেস ইস্যুতেই বারবার নির্বাচকদের চোখের আড়াল হয়েছেন মুম্বাইয়ের এ ব্যাটার। কিন্তু এখানেই যেন প্রবল আপত্তি ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কারের।
তাঁর মতে, ‘প্রত্যেক ক্রিকেটারকে যদি স্লিম আর সুদর্শন হতে হয় তাহলে তারা বরং কোনো ফ্যাশন হাউজে গেলেই পারে। ক্রিকেট মাঠে কেন? আর ক্রিকেট মাঠে সবাইকে একই সাইজের হতে হবে, এই দিব্যিটা কে দিয়েছে? সরফরাজ মাঠে গিয়েছে। সেঞ্চুরি করেছে। সেঞ্চুরিটা নিশ্চয় মাঠের বাইরে থেকে করেনি। মাঠে যে পারফর্ম করবে সেই-ই ফিট।’
সরফরাজ খান অবশ্য এখনই আশা হারাচ্ছেন না। ফিটনেস নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করছেন। নিজের ফিটনেস ইস্যুতে এক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন নিজের ভাবনার কথাও।
তিনি বলেন, ‘ফিটনেস নিয়ে আমি এর আগেও কথা শুনেছি। আমি যখন রঞ্জিতে খেলছিলাম তখন বাড়ি ফিরতাম রান ২ টায় আর ম্যাচের জন্য আবার ভোর ৫ টায় বেরিয়ে পড়তাম। মাঠে রানিং থেকে শুরু করে সব কিছুতেই ঠিকঠাক আছি। তারপরও এটি নিয়ে আমি আলাদা করে কাজ করছি। দিল্লী ক্যাপিটালস একটা ফিটনেস ক্যাম্পের আয়োজন করছে। সেখানে আমি ১৪ দিন থাকব। আমার হাতে যা কিছু আছে, তার সবটা দিয়েই নিজেকে নিংড়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।’
সরফরাজ খানের বয়সটা এখন ২৫। এখন পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলার জন্য ডাক আসেনি। তবে সেই অপেক্ষায় নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মুম্বাইয়ের এ ব্যাটার। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন আমি যা, তা নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। নিজেকে ধরে রাখতে চাই। অনেকেই আছে যারা একটু দেরিতে সুযোগ পায়।’
এ পর্যায়ে সুরিয়াকুমার যাদবের উদাহরণ টেনে সরফরাজ বলেন, ‘সুরিয়া একটা উদাহরণ। আমরা সব সময়ই নিজেদের স্কিল, সুইপ শট নিয়ে কথা বলে গিয়েছি। সে কিন্তু বেশ পরেই জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছে। দেরিতে হলেও তাঁর ক্যারিয়ারের শুরুটা কিন্তু দুর্দান্ত হয়েছে। তাই আমার অপেক্ষা করতে কোনো সমস্যা নেই।’