মিরপুরের মাটিতে বছরের প্রথম টেস্ট। একই সাথে আইরিশদের বিপক্ষে লাল বলের ক্রিকেটে প্রথম লড়াই। প্রত্যাশিতভাবেই, এ টেস্টে আধিপত্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। তাইজুলের স্পিন ঘূর্ণিতে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২১৪ রানে থেমেছে আইরিশরা। অবশ্য তার বিপরীতে শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি বাংলাদেশের। ৩৪ রানের মাঝেই তারা হারিয়েছে শান্ত আর তামিমের উইকেট।
মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এ দিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেন আয়াল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি। তবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি আয়ারল্যান্ডের। দলীয় ১১ রানের মাথায় ওপেনার মারে কামিন্স ফিরে যান। এরপর লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগেই ৩ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
অবশ্য লাঞ্চ বিরতির পর বাংলাদেশি বোলারদের সামনে ভালই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল কার্টিস ক্যাম্ফার আর হ্যারি টেক্টর। তাদের জুটি থেকে আসে ৭৪ রান। এর মাঝে ব্যক্তিগত ৫০ রানেরও দেখা পেয়ে যান অভিষিক্ত ক্রিকেটার হ্যারি টেক্টর। তবে ফিফটি পূরণের পর উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আইরিশ এ ব্যাটার। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ঐ ৫০ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি।
পরবর্তীতে ক্যাম্ফারকেও ফিরিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম। ব্যক্তিগত ৩৪ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন এ ব্যাটার। এরপর উইকেটে আসেন জিম্বাবুয়ের হয়ে ৮ টি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা থাকা পিটার মুর। অবশ্য ভিন্ন দেশের হয়ে ক্যারিয়ারের নতুন শুরুটা ভাল হয়নি এ ব্যাটারের। ১ রান করেই ফিরে যান সাজঘরে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি আইরিশরা।
১৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে যায় আয়ারল্যান্ড। তবে সেই বিরতিতে থেকে ফিরে এসে দিনের শেষ সেশনে আর ৬৯ রান যোগ বাকি ৪ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ২১৪ রানেই গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে একাই ৫ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।
আয়ারল্যান্ডের ২১৪ রানের বিপরীতে দিনের শেষ ভাগে ইনিংসের শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই মার্ক অ্যাডায়ারের বলে বাঁ-হাতি এ ব্যাটার বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে।
এরপর মমিনুলকে নিয়ে সাবলীল ব্যাটিংই করছিলেন তামিম ইকবাল। তবে দিনের একদম শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের বিপত্তি বাড়িয়েছেন ঐ তামিমই। ব্যক্তিগত ২১ রান অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের স্পিনে ধরা দেন এ ব্যাটার। তামিমের উইকেট হারানোর পরই প্রথম দিনের খেলা শেষ হয়। আর তাতে আইরিশদের ২১৪ রানের বিপরীতে প্রথম দিন শেষ বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ২ উইকেটে ৩৪ রান ।