অবশেষে কলকাতার জয়

অবশেষে কলকাতা নাইট রাইডার্স পেল জয়ের দেখা! টানা ৪ হারে এক প্রকার ব্যর্থতার বৃত্তেই বন্দী হয়ে পড়েছিল দলটা। তবে সেই ব্যর্থতা ভুলে এবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে ২১ রানে হারিয়ে দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

জয়ের ধারায় ফেরার দিনে অবশ্য শুরুতেই বাজিমাত করেছিল কলকাতা। টসে হেরে এ দিন প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার জেসন রয় আর নারায়ণ জগদীশান। জগদীশান কিছুটা মন্থর গতিতে ব্যাটিং করলেও তা পুষিয়ে দেন জেসন রয়। ইংলিশ এ ব্যাটার মাত্র ২২ বলেই পৌঁছে যান ব্যক্তিগত অর্ধশতকে।

যদিও ফিফটি পূরণের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি রয়। ৪ চার আর ৫ ছক্কায় ২৯ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে থামেন এ ব্যাটার। তার আগে ২৯ বলে ২৭ রান করে বিদায় নেন আরেক ওপেনার নারায়ণ জগদীশান।

৫ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনার ফিরে গেলেও কলকাতার ইনিংসকে পরবর্তীতে সংহত করা দায়িত্ব নেন অধিনায়ক নিতিশ রানা আর ভেঙ্কটেশ আইয়ার। এ দুই ব্যাটারের ৮০ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় কলকাতা। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ৩১ রান করে আউট হন। আর ব্যক্তিগত অর্ধশতকের পথে হেটেও শেষ পর্যন্ত ২১ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে থামেন নিতিশ রানা।

নিতিশ রানার পর কলকাতাকে ২০০ পেরোনো সংগ্রহের পথে রেখেছিলেন রিঙ্কু সিং। যদিও শেষ দিকে ডেভিড ভিসার ব্যাট থেকে ২ ছক্কায় ৩ বলে ১২ রানের ক্যামিও না আসলে কলকাতার ২০০ ছোঁয়াই হতো না। নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরকার্ডে কলকাতা জমা করে ঠিক ঠিক ২০০ রানই।

২০১ রানের বড় সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্তই করেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে দেখা যায় ফাফ ডু প্লেসিকে। তবে পরবর্তীতে ঐ আক্রমণাত্বক অ্যাপ্রোচেরই মাশুল দিতে হয় তাঁকে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সুয়াষ শর্মার স্পিনে ধরা দেন এ ব্যাটার।

এর কিছুক্ষণ বাদে ঐ সুয়াষ শর্মার বলেই আউট হয়ে ফিরে যান তিনে নামা শাহ্‌বাজ আহমেদ। এরপর উইকেটে এসে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি। বরুণ চক্রবর্তীর বলে আউট হয়ে তিনি ফিরে যান ব্যক্তিগত ৫ রানে।

৫৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া ব্যাঙ্গালুরুকে এরপর কিছুটা ম্যাচে রেখেছিলেন বিরাট কোহলি আর মাহিপল লোমরার। দুজনের ৫৫ রানের জুটিতে ম্যাচে দারুণভাবে ফিরে আসে ব্যাঙ্গালুরু। এর মাঝে কোহলিও তুলে নেন অর্ধশতক। তবে দলীয় ১১৩ রানে লোমরার ফিরে যাওয়ার পর ২ রান বাদেই আন্দ্রে রাসেলের বলে আউট হয়ে যান কোহলি। আর এরপরেই ম্যাচ ঝুঁকে যায় কলকাতার দিকে।

দিনেশ কার্তিক যদিও এরপরে ম্যাচ জেতার পথে চোখ রেখেছিলেন। তারপরও সেটি ব্যাঙ্গালুরুর ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। বরুণ চক্রবর্তীর শিকার হয়ে তিনি সাজঘরে ফিরে যান ব্যক্তিগত ২২ রানে। ম্যাচের ভাগ্য এরপরেই নির্ধারিত হয়ে যায়। নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ব্যাঙ্গালুরু জমা করতে পারে ১৭৯ রান। কলকাতার হয়ে এ দিন ২৭ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link