মার্কাস স্টয়নিসের ঝড়ে জয়ের পথ রচিত বলেও মুম্বাইয়ের ইশান, টিম ডেভিডদের ব্যাটিংয়ে ম্যাচের মোড় মুম্বাইয়ের দিকে ঘুরে ছিলো অনেকটা সময়। তবে টিম ডেভিড, গ্রিনদের শেষ ওভারে ১১ রান রান তুলতে না দিয়ে ম্যাচের নায়ক বনে যান মহসিন খান। দুর্দান্ত ডেথ বোলিংয়ের এক প্রদর্শনী দেখিয়ে জয় এনে দেন লখনৌকে। পাঁচ রানে জিতে প্লে অফের খেলার আশা আরো সুংহত করেছে লখনৌ।
লখনৌতে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় মুম্বাই। তৃতীয় ওভারেই বেহরেন্ড্রফের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার দীপক হুডা। পরের বলেই কোনো রান না করে ফিরে যান প্রেরক মানকাড। পাওয়ারপ্লেত পরপরই ডি কক ১৬ রানে ফিরে গেলে ৩৫ বলে তিন উইকেটের দল তখন লখনৌ।
এরপরই মুম্বাই বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরানো শুরু করেন অধিনায়ক ক্রুনাল পান্ডিয়া ও অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। ছক্কার পসরা সাজিয়ে বসেন স্টয়নিস। ৪৭ বলে আট ছক্কায় ও চার চারে ৮৯ রান করে অপরাজিত জিলেন তিনি। অন্যপ্রান্তে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ক্রুনাল। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরার আগে ৪২ বলে ৪৯ রান করেন লখনৌ অধিনায়ক।
ক্রুনাল ও স্টয়নিসের দারুণ পার্টনারশিপে তিন উইকেটে ১৭৭ রানের সংগ্রহ পায় লখনৌ। ১৭৭ রানের জবাব দিতে নেমে দারুণ সূচনা পায় মুম্বাই। উদ্বোধনীতে জুটিতে ৯০ রান তোলেন রোহিত ও ইশান কিষান। বিশ্নয়ের বলে আউট হবার আগে ২৫ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে ৩৭ রান করেন রোহিত।
টুর্নামেন্টে নিজের অসাধারণ ফর্ম ধরে রেখে ৩৯ বলে এক ছক্কা ও আট চারে ৫৯ রান করেন ইশান। ইশানও শিকার হন রবি বিশ্নয়ের। এরপর টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ধারাবাহিক সুরিয়াকুমার যাদব ও বেশিক্ষন টেকেননি। কিন্তু দলের হয়ে ফিনিশিং টাচ দেবার জন্য টিম ডেভিড তখনো উইকেটেই ছিলেন। তবে এদিকে আর টিম ডেভিডকে নায়ক হতে দিলেন না অচেনা এক বোলার।
বাঁহাতি পেসার মহসিন এদিন নায়ক বনে গেলে টিম ডেভিড, ক্যামেরন গ্রিনদের বিরুদ্ধে ১১ রান ডিফেন্ড করে। ১৯ বলে ৩২ রানের ঝড় তুললেও শেষ ওভারে মহসিনের বোলিংয়ে ম্লান হয়েছে সেই ঝড়। শেষ পর্যন্ত পাঁচ রানে জেতে লখনৌ।
এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে আছে লখনৌ। অন্যদিমে ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে মুম্বাই।