গতি, স্যুইয়ের বিষ আর আগ্রাসন – এই তিনের মিশেলে তিনি অনন্য। তাঁর মত একজন পেসার বাংলাদেশে পরম আরাধ্য। তবে, তাসকিন আহমেদ নামটির সাথে এই এক রাশ আশার সাথে মিশে আছে একটি হতাশা।সেটা হল ইনজুরি।
এবার তিনি আবারও ইনজুরি কাটিয়ে ফিট হয়ে ওঠার মিশনে আছেন। তিন ফরম্যাটে খেলার লক্ষ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্ট দিয়ে আবারও ক্রিকেটে ফিরতে চান এই ফাস্ট বোলার। তাসকিনের জন্য চ্যালেঞ্জটা এখানে প্রতিপক্ষ নয়, বরং তিনি নিজেই।
পিঠের ইনুজরি থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠছেন তাসকিন। কিছুদিন আগে ফুল রান আপে বোলিং শুরু করেছেন তিনি। ইনজুরির কারণে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট এবং ইংল্যান্ডের মাটিতে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ মিস করেছেন তিনি।
তাসকিন জানান, এই মুহুর্তে পরিশ্রম বেশি হলেও কোন অস্বস্তিবোধ করছেন না। যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় দলে ফিরতে এটি তাকে আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে অনুশীলনের পর তাসকিন চনমনেই ছিলেন। কণ্ঠে ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার তাড়না, ‘শারীরিক অবস্থা এখন ভালো আছে। বোলিং শুরুর পর আমি চারটি সেশন শেষ করেছি এবং ধীরে ধীরে কাজের চাপ বাড়িয়েছি। এটি আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে এবং কোন সমস্যায় পড়িনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে খেলবো। দেখা যাক কি হয়। টিম ম্যানেজমেন্ট এবং নির্বাচকরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন।’
তিন ফরম্যাটে খেলার লক্ষ্যে কাজের চাপ সামলাতে ফিটনেসের উপর জোর দিয়েছেন তাসকিন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অনেক পেসার আছেন যারা ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই খেলছেন। বড় ইস্যু হচ্ছে ফিটনেস। ফিটনেসের সেরা পর্যায়ে থাকতে হবে আপনাকে। আপনার শরীরের যত্ন নিতে হবে। নয়তো তিন ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়া কঠিন। হয়তো আমি ভালো অবস্থায় নেই। এজন্য আমি নিয়মিত ইনজুরিতে পড়ি। নিজেকে যতটা সম্ভব ফিট রাখার চেষ্টা করছি। আমি সুপার ফিট হবার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি।’
জানিয়ে রাখা ভাল, দুই পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলবে আফগানিস্তান। প্রথম পর্বে একটি টেস্ট খেলবে আফগানরা। যা শুরু হবে ১৪ জুন। জুলাই মাসে ভারতের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজ শেষ করে আবারও বাংলাদেশ সফরে এসে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে আফগানরা।