এশিয়া কাপ বয়কটের হুমকি আগে থেকেই দিয়ে রেখেছিল পাকিস্তান। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সেই সিদ্ধান্তই এখন চূড়ান্ত হওয়ার পথে। সর্বশেষ খবর বলছে, আসন্ন এশিয়া কাপ নিয়ে এরই মধ্যে পাকিস্তান সরকারকে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ফেলেছে পিসিবি।
তবে পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের পর আদৌ এশিয়া কাপ মাঠে গড়াবে কিনা, তা নিয়ে এখন নতুন করে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। কারণটা স্পষ্টই। এশিয়া কাপ মানেই ভারত-পাকিস্তানের লড়াই।
আর এই দ্বৈরথে ম্যাচে সম্প্রচার স্বত্ত্বও বিক্রি হয় চড়ামূল্যে। কিন্তু পাকিস্তান এশিয়া কাপে অংশ না নিলে সম্প্রচার স্বত্ত থেকে বড় একটা অঙ্ক ছুটে যাবে এসিসির হাত থেকে।
তবে গুঞ্জন আছে, পাকিস্তানের অনুপস্থিতিতে এশিয়া কাপ না হলেও ভারতের মাটিতে ৪ থেকে ৫ টি দেশ নিয়ে বহুজাতির একটি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। যেটাকে প্রাথমিক ভাবে এশিয়া কাপের বিকল্প হিসেবে ধরা হচ্ছে।
এর আগে প্রথম দিকে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তাতে বেঁকে বসে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। পরবর্তীতে পাকিস্তান হাইব্রিড মডেল এশিয়া কাপের প্রস্তাব দিলে তাতেও আগের অবস্থানে অটল থাকে বিসিসিআই।
এর সাথে আবার হাইব্রিড মডেল নিয়ে বিরোধিতা করে বসে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাও। ফলত, এশিয়া কাপের ভাগ্য তখন থেকেই ঝুলছিলে অনিশ্চয়তার বৃত্তে। এরপর এশিয়া কাপের ভাগ্য নির্ধারণে দফায় দফায় আলোচনায় বসে এশিয়ার দলগুলো।
আর সেখানে নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে এশিয়া কাপ আয়োজন পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় শ্রীলঙ্কায়। ব্যাস। এরপরেই আগের কথা অনুযায়ীই, পিসিবি থেকে এশিয়া কাপ বয়কটের ঘোষণা আসে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে সেই সিদ্ধান্ত এখনো প্রকাশ্যে আসেনি।
তবে এখন পর্যন্ত সর্বশেষ খবর বলছে, আসন্ন এশিয়া কাপে নিজেদের অংশগ্রহণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে পিসিবি। একই সাথে, পাকিস্তান থেকে এশিয়া কাপের আয়োজন সরিয়ে নেওয়ায় এখন তারা ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপও বয়কট করার পর্যায়ে আছে।
সম্প্রতি আইসিসির চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে ২ দিনের সফরে পাকিস্তানে গিয়েও পিসিবি’র সাথে আলোচনা ততটা ফলপ্রসূ হয়নি। পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তান সরকারের অনুমতি ব্যতিত তারা আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নেবে না।