উপমহাদেশিরাই ইংলিশ ক্রিকেটে বৈষ্যম্যের শিকার

যুক্তরাজ্যের অভিবাসীদের বড় একটা অংশই উপমহাদেশের দেশগুলোর বংশদ্ভুত মানুষ। মঈন আলী, আদিল রশিদ, রবিন দাসের মত ক্রিকেটারদের শেকড়টা উপমহাদেশে হলেও প্রত্যেকেই প্রতিনিধিত্ব করছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলে।

তবে ক্রিকেটের ক্ষেত্রে বিরাট এক বৈষম্যের অভিযোগই উঠে এলো ইংলিশ ক্রিকেটের ক্ষেত্রে। অভিযোগটা অনেকটা এরকম যে, অভিবাসী হিসেবে বসবাস করা উপমহাদেশের ৮৭ শতাংশ মানুষই মনে করেন তারা ইংল্যান্ড ক্রিকেটে বৈষম্যের শিকার।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন ফর ইকুইটি ইন ইংলিশ ক্রিকেট (আইসিইসি) নামক একটি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। এই গবেষণায় ৮২ শতাংশ ভারতীয়ই মত দিয়েছেন তারা ক্রিকেটের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার। তারা মনে করছেন, ক্রিকেটে সুযোগ পাবার ক্ষেত্রে সবাই এখানে সমান সুযোগ পাচ্ছে না।

এই কমিশনের গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন প্রায় চার হাজার মানুষ। এই কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘৮৭ শতাংশ পাকিস্তানি এবং বাংলাদেশি, ৮২ শতাংশ ভারতীয় এবং ৭৫ শতাংশ কৃষ্ণবর্ণের লোক আমাদের এই গবেষণায় উত্তর দিয়েছে যে তারা বৈষম্যের শিকার। যা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।’

এই স্বাধীন কমিশনটি মূলত ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডেরই তৈরি যারা ক্রিকেটে কেউ কোথাও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে কিনা সে জিনিসটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এই রিপোর্টে আরো বলা হয়, ‘খেলার ধরণই মূলত বৈষম্যের সৃষ্টি করছে এবং আইসিইসি এমন অনেক উদাহরণ এবং বর্ণবাদী আচরণের ঘটনা শুনেছে।’

এছাড়াও নারীদের ক্ষেত্রেও বৈষম্য হয় ইংল্যান্ড ক্রিকেটে। অনেকটা পুরুষ ক্রিকেটের অধীনে চলে গেছে নারীদের ক্রিকেট। এছাড়াও এই খেলা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নারীকে কোনোরূপ মতামত রাখার সুযোগও দেয়া হয়না।

এছাড়াও শিশুদের ক্রিকেটে আসার প্রক্রিয়াতেও শ্রেণি বৈষম্যের শিকার হতে হয় বলে জানানো হয়েছে এই রিপোর্টে। প্রাইভেট স্কুল গুলোই মূলত স্কুল পর্যায়ের পাইপলাইন গুলো নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও সমাজের নিন্মবিত্ত শ্রেণির লোকদেরও আর্থিক দিক থেকে বাঁধার সম্মুখীন হতে হয় ইংল্যান্ডে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link