বেটিং স্পন্সরশিপের বিরুদ্ধে বাবর আজম

ক্রিকেট দলগুলোর জার্সিতে বেটিং কোম্পানির লোগো ব্যবহারের বৈধতা বছর খানেক আগেও ছিল না। তবে সম্প্রতি সেই বিধিনিষেধ থেকে সরে এসেছে আইসিসি। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে মিলেছে বৈধতা। তাই ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, দলগুলোর জার্সিতে এখন বেটিং কোম্পানির লোগোর দেখা মিলছে হরহামেশাই।

তবে তাতে বৈধতা থাকা স্বত্ত্বেও এবার নিজ জার্সিতে বেটিং কোম্পানির লোগো ব্যবহারে আপত্তি জানিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। আগামী ৩০ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল)। এ টুর্নামেন্টে কলম্বো স্ট্রাইকার্সের নেতৃত্বে থাকছেন তিনি।

তবে দলটির জার্সিতে বেটিং কোম্পানির লোগো থাকলেও বাবর আজমের জার্সিতে তা থাকছে না। বাবর আজমের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো আপত্তি করেনি ফ্রাঞ্চাইজিটি। জানা গেছে, কলম্বো স্ট্রাইকার্সের হয়ে চুক্তির সময় বাবর আজমের প্রধান শর্তই ছিল, তাঁর জার্সিতে কোনো ধরনের বেটিং কোম্পানির লোগো ব্যবহার না করা।

জার্সিতে বিতর্কিত জিনিসের লোগো ব্যবহারে বাবর আজমের এমন পদক্ষেপ অবশ্য এটিই প্রথম নয়। এর আগে ২০২০ সালে একবার মদ কোম্পানির লোগো অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন তিনি। মূলত সে সময় ইংলিশ কাউন্টি ক্লাব সামারসেটের হয়ে খেলতেন বাবর।

তাদের জার্সিতেই ছিল মদ কোম্পানির লোগো। এমন কিছু জানানোর পর বাবর আজম গায়ে সেই লোগোযুক্ত জার্সি চাপাতে অস্বীকৃতি জানান। বাবরের সেই ইচ্ছার প্রতি সে বার সম্মান জানিয়েছে  সমারসেট ক্লাব কর্তৃপক্ষও।

বাবর আজমের আগে মদ কোম্পানির লোগো ব্যবহারে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক হাশিম আমলা। দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে মদ কোম্পানির লোগো সম্বলিত তিনি জার্সি পরতেন না। যে কারণে তাঁর ম্যাচ ফি’র নির্দিষ্ট একটা অংশ কেটে রাখা হতো।বাবর আজমের অবশ্য ম্যাচ ফি’র কোনো অংশ কাটা যায়নি। ভিন্ন পরিস্থিতিতে ক্লাব কর্তৃপক্ষ বরং বাবর আজমের ইচ্ছার প্রতি সম্মানই দেখিয়েছে।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link