বাংলাদেশকে চমকে দিতে পারবে আফগানিস্তান?

‘আমাদের বোলিং আক্রমণই সবচেয়ে সেরা’ - বিনা দ্বিধায় এই কথাগুলোই বললেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহীদি। তার আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলনই বটে। খুব একটা ভুল তো নিশ্চয়ই তিনি বলেননি। গোটা বিশ্বে যার কদর, সেই রশিদ খান তো রয়েছেন তাদেরই দলে।

‘আমাদের বোলিং আক্রমণই সবচেয়ে সেরা’ – বিনা দ্বিধায় এই কথাগুলোই বললেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহীদি। তার আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলনই বটে। খুব একটা ভুল তো নিশ্চয়ই তিনি বলেননি। গোটা বিশ্বে যার কদর, সেই রশিদ খান তো রয়েছেন তাদেরই দলে।

অন্যদিকে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট দাপিয়ে বেড়ানো মোহাম্মদ নবী, মুজিব-উর রহমান, ইজহারুল হকরা তো রয়েছেনই। নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা স্পিন অ্যাটাকই রয়েছে তাদের। বাংলাদেশও সেই বিষয়টি নিয়ে বাড়তি সতর্ক। কিন্তু আফগানদের অনুশীলন দিচ্ছে ভিন্ন বার্তা।

শুধুমাত্র স্পিনারদের উপরই ভরসা রাখছে না আফগানিস্তান। তাদের পেস আক্রমণকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছে আফনিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট। তেমনটা হওয়াও স্বাভাবিক। কেননা সাগরিকায় আফগানিস্তানের স্পিনারদের চাইতে তাদের পেসার ফজল হক ফারুকির সফলতার হারটাই বেশি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়ানডে সুপার লিগের অন্তর্গত সিরিজ খেলেছিল আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ। সেই সিরিজের সবক’টি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে। সেবার ফারুকি সিরিজ সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। সেই সিরিজটি বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জিতলেও আফগান বোলাররা ঠিকই দাপট দেখিয়েছিল চট্টলার মাটিতে।

ফারুকির পর পাঁচ উইকেট নিয়ে সিরিজের দ্বিতীয় সেরা উইকেট শিকারি বোলার ছিলেন রশিদ। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতেও পারে। কিন্তু এদফা বাজিমাত করতে পারেন আফগানিস্তানের পেস অ্যাটাক। হাসমতউল্লাহ শাহীদি তো এখন জাতীয় দলের হয়ে না খেলা দুই পেসারের উপর রেখেছেন পূর্ণ আস্থা।

সংবাদ সম্মেলনে শাহীদি বলেন, ‘ভাল দিক হলো আমাদের আগে কেবল ভাল স্পিনার ছিল। এখন আমাদের ভাল পেসারও রয়েছে। যেমন, ফজল, আজমতও ভাল করছে। তাছাড়া আমরা ওয়াফাদার মোমেনকে নিয়ে এসেছি, নতুন বোলার, তার বেশ গতি রয়েছে। এছাড়াও সেলিম সাফাই, তারও ভালই গতি রয়েছে। এসব কিছু আমাদের বেশ এগিয়ে রাখবে। ওয়াফাদার আর সেলিম সাফাইকে নিয়ে আমি বেশ আত্মবিশ্বাসী, তারা ভাল ক্রিকেট খেলবে।’

অধিনায়কের মত থেকেই তো বিষয়টি দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে যায়, যে আফগানিস্তান কেবলই স্পিন নির্ভর থাকতে চাইছে না। তাছাড়া প্রথম ওয়ানডের একেবারে শেষ বিকেলে আফগান খেলোয়াড়দের দেখা গেছে স্লিপ কর্ডোনের ক্যাচ অনুশীলন করতে। পেসারদের জন্যে যেমন করে ফিল্ডার সাজানো থাকে সেভাবেই তারা দীর্ঘক্ষণ অনুশীলন করেছেন।

এছাড়া পেসারদের জন্যে মার্কার বসিয়ে তাদের লাইন আর লেন্থের উপরও কাজ করতে দেখা গেছে আফগান কোচদের। পেসারদের গতিও বেশ সমীহ করবার মতই। সেই সাথে সঠিক লাইন-লেন্থ দারুণ বিপাকেই ফেলতে পারে বাংলাদেশ। আফগানিস্তান নিশ্চয়ই সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাংলাদেশকে পেস আক্রমণ দিয়েই চমকে দিতে চাচ্ছে শাহীদির দল।

অবশ্য বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল নিজেদেরকে সবরকমের পরিস্থিতির জন্যেই প্রস্তুত রাখছেন। আফগানদের পেস আক্রমণ নিয়েও সমান সতর্ক টাইগারদের অধিনায়ক।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...