২৪ গড় নিয়েও সন্তুষ্ট লিটন!

২৩.৫০, সর্বশেষ দশ ওয়ানডে ম্যাচে লিটন দাসের গড়। ভাল খারাপের হিসেব পরে না হয় কষা যাবে। এর আগে লিটন কি বলেছেন নিজের গড় সম্পর্কে, সেটা জেনে নেওয়া জরুরি। ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে আফগানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন লিটন।

সেখানে তিনি বলেন, ‘কত করলে ফর্মে থাকব, এটা একটু বলেন তো। ২৫-২৬ (গড়) একেবারেই খারাপ না। ক্রিকেট একটা সিরিজ ভাল যাবে, আরেকটা সিরিজ খারাপ যাবে। তিন ফরম্যাট খেলতেছি, একটা ফরম্যাট খারাপ যেতেই পারে। বাড়তি কোন চাপ নেই। আমি স্বাভাবিকভাবেই আমার ক্রিকেট নিয়ে ভাবতেছি, কিভাবে আরও ভাল করা যায় সেই চেষ্টা করতেছি।’

শেষের অংশটুকু অবশ্য লিটনকে একটু সময় দেওয়ার পক্ষে খানিকটা দাবি জানায়। একজন ক্রিকেটার নিজে ভাল করবার চেষ্টা করা ছাড়া তার হাতে তো আর কিছু থাকে না। সেই চিত্রের প্রতিফলন দেখা গেছে জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামেও। লম্বা সময় ধরে নিজের ব্যাটের সাথে সময় পার করেছেন লিটন দাস।

যদিও বোলারদের বিপক্ষে ব্যাটিং অনুশীলন করেননি তিনি। নেটে নকিং করেছেন প্রায় এক ঘন্টার উপর। নেট পরিবর্তন করেছেন। ভিন্ন ভিন্ন শট খেলার চেষ্টা করেছেন। ব্যাটের সাথে বলের সংযোগটা ঠিকঠাক করতে পারছেন কিনা, সেটাই যেন বাজিয়ে দেখেছেন।

চট্টগ্রামে রোদের তীব্রতা রয়েছে। যদিও মাঝে মধ্যেই আকাশ ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যাচ্ছে। তবে উজ্জ্বল আলোক রশ্মিতে, সাদা বল খেলতে দরকার চোখের সাথে হাতের সমন্বয়। সেটাই যেন রপ্ত করবার চেষ্টাটা করে গেছেন। চেষ্টার কোন কমতি রাখছেন না লিটন। সাগরিকায় অনুশীলনে ব্যাট চালিয়েছেন প্রতিদিন। কিন্তু শত চেষ্টার প্রতিফলটা ঠিকঠাক ঘটাতে পারছেন না তিনি ম্যাচের দিন।

তাইতো তার গড় ঘুরপাক খাচ্ছে বিশের ঘরে। বিস্ময় জাগানিয়া বিষয় হচ্ছে, এই বিষয়টি নিয়ে তিনি খুব বেশি চিন্তিত নন। তার ক্যালিবার সম্পর্কে কারোই কোন সন্দেহ নেই। তিনি যে বড় রান করতে পারেন সেটাও তো কারোই অজানা না। তবে তার এই অল্পেই সন্তুষ্টি হওয়াটা বাংলাদেশের জন্যে কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে বড় মঞ্চে।

কারণটা স্পষ্ট, তামিম ইকবাল অবসর নিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। অভিজ্ঞতার বিচারে বাংলাদেশের ওপেনিং পজিশনের দায়িত্বটা এবার তাকেই নিতে হবে। সেই সাথে দলের দায়িত্বভারও এসে যাচ্ছে তার সামনে। একটু বাড়তি দায়িত্ব চাপে ফেলেও দিতে পারে লিটনকে। তখন এই পরিসংখ্যানের গ্রাফটা যে হতে পারে আরও নিম্নমুখী।

এই বিষয়গুলো অন্তত লিটনের বোঝা উচিত। তিনি হয়ত বোঝেনও। কিন্তু নিজের বাইরে অন্য কাওকে বুঝতে দিতে চাননা। নিজের দূর্বলতার সমাধানটা নিরবেই করতে চান। আবারও গোটা দেশকে নান্দনিকতার চাদরে মুড়ে দিতে চান। ভাসাতে চান মুগ্ধতায়। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি নেই লিটনের। ক্ল্যাসিকাল এক কাভার ড্রাইভ খেলে আবারও নিশ্চয়ই ব্যাট উঁচিয়ে ধরবেন তিনি। সে সময়েরই অপেক্ষা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link