বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সাথে যোগসংযোগ আগে থেকেই ছিল আশরাফুল মামুন রুপুর। খেলেছিলেন অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ দলে। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ দলে আর শেষ পর্যন্ত জায়গা করে নিতে পারেননি।
তাই, ২০১৮ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমিয়েছিলেন পর্তুগালে। ৫ বছর বাদে, ঠিক সেই পর্তুগাল জাতীয় দলেই জায়গা পেয়েছেন আশরাফুল মামুন রুপু। মূলত ২০১৮ সালে পর্তুগালে পাড়ি জমানোর পরই নিজের পুরনো অঙ্গনে বাইশ গজে নেমে পড়েছিলেন আশরাফুল।
ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের সাথে শুরু হয় তাঁর পথচলা। এরপর খেলেন গোরখা একাদশের হয়ে। আর এ ক্লাবের হয়ে খেলেই তিনি নির্বাচকদের নজর কাড়েন। শেষ দুই বছরে পর্তুগালের টি-১০ লিগে প্রায় ১৬০ স্ট্রাইকরেটের উপরে ব্যাটিং করেছেন।
২০২২ সালে যেখানে ১৫২.৮১ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছিলেন, সেখানে এবার তিনি ব্যাটিং করেছেন ১৭৩.৬২ স্ট্রাইকরেটে। সাথে ফিফটিও করেছেন ২ টা। আর আগের আসরে ৯ ছক্কা মারা আশরাফুল এবারের আসরের ১০ ম্যাচেই মেরেছেন ২৩ টা ছক্কা।
এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর আশরাফুল রুপুকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। হাঙ্গেরিতে অনুষ্ঠেয় ত্রি দেশীয় সিরিজের জন্য ডাক পেয়ে যান পর্তুগাল জাতীয় দলে।
ক্রিকেট মানচিত্রে পর্তুগাল অবশ্য বড় কোনো দল নয়। ১৯৯৬ সাল থেকে ক্রিকেট শুরু করা দেশটি এখন ইউরোপীয় অঞ্চলে খেলছে। অবশ্য এখন পর্যন্ত খারাপ করেনি দলটা।
২০১৯ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা পর্তুগাল শেষ ৪ বছরে হেরেছে মাত্র ৪ টা ম্যাচ। এর বিপরীতে তাদের জয়সংখ্যা ১৮ টিতে।
বলাই বাহুল্য যে, পর্তগালের জাতীয় দলের হয়ে খেলা বাংলাদেশি ক্রিকেটার কিন্তু রুপু একাই নন। আছেন সিরাজুল্লাহ খাদেম নিপুও। তিনি বাংলাদেশের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ দলের জার্সি পরলেও জাতীয় দল হিসেবে বেছে নিয়েছেন পর্তুগালকে।
বিকেএসপি থেকে এসে নিপু যুব ক্রিকেটের পর হাইপারফরম্যান্স দলে ছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা শুরু করেন মোহামেডানের হয়ে। তবে, ইনজুরিতে বাংলাদেশ দলে খেলার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় তাঁর।