কোমরের ইনজুরিটা অনেকদিন হল, সাথে নিয়ে ঘুরছেন তামিম ইকবাল। আর এটা নিয়ে যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ভেতরে যথেষ্ট গাফিলতি হয়েছে – সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই ইস্যু নিয়ে ক্ষিপ্ত ছিলেন স্বয়ং বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও।
গেল বৃহস্পতিবারের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি তো বলেই দিলেন, ‘রিপোর্ট দেখার পর আমার তো মেজাজই গরম হয়ে গেল। এটা যাতে ভবিষ্যতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে। নিশ্চয়ই কোনো না কোনোভাবে অবহেলা করা হয়েছে। তাই বিশ্বকাপের আগে এই অবস্থায় পড়তে হয়েছে। এটা অবশ্যই দু:খজনক।’
তামিমের ইনজুরির গভীরতা আগে ধরতে পারলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। তামিমের নিজেরও তাই আক্ষেপ আছে। তিনি বলেন, ‘আমার চোট কিন্তু ২০২২ সালের নভেম্বর থেকেই ছিল। আগে রিপোর্ট পাঠাইনি। এবার রিপোর্ট পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে বলেছেন, কেন তাঁকে আগে জানানো হয়নি। জানাতে বলেছেন। এটা আসলে কারও সঙ্গে হওয়া উচিত নয়।’
এই ইনজুরির কারণেই তিনি অধিনায়কত্বটা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। খেলতে পারবেন না এশিয়া কাপে। খেলতে চান নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে। তবে পারবেন কি না নিশ্চিত নয়। এমনকি তামিমের বিশ্বকাপ খেলা নিয়েও শঙ্কা আছে।
অথচ, এই বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করেই এতদিন ধরে দল গোছাচ্ছিলেন তামিম। সেই তিনিই কি না শঙ্কায়, স্রেফ গাফিলতির জন্য।
তামিমের চোট নিয়ে বলতে গেলে প্রায় অন্ধকারেই রাখা হয়েছেন বোর্ড সভাপতিকে। কেন? – এই প্রশ্নের কোনো জবাব নেই খোদ বিসিবি বা তামিমের কাছে।
বিসিবির মেডিকেল টিম নিয়মিতভাবেই তামিমের চোট নিয়ে বোর্ডের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও টিম ম্যানেজমেন্টকে অবহিত করে আসছে। তারপরও কেন বোর্ডের শীর্ষমহল বিষয়টা জানে না? আর ডাক্তারটা সমস্যা খুঁজে পাওয়ার পরও কেন কোনো সূরাহা হল না? ক্রিকেট অপরাশেন্স কি ঘুমিয়ে ছিল?
এত সব প্রশ্ন, এত সব প্রশ্নের জবাব দেবে কে? বোর্ড সভাপতি বলছেন, ভবিষ্যতে এটা যেন না হয় সেই ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু, এর আগেই তো তামিম ইকবালের ভবিষ্যত ঠেলে দেওয়া হল অন্ধকারে। সেই দায় কি বিসিবিরও নয়?