সাত নম্বর ইস্যুতে এখনও সুরাহা করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক প্যানেল। তবে, মেহেদী হাসান মিরাজকে সাত নম্বরে খেলানোর আভাস মিলেছে।
মিরাজের অবশ্য সাত নম্বরে খেলার অভিজ্ঞতা খুবই কম। ১০ ইনিংস খেলে করেছেন মাত্র ১২৫ রান। সর্বোচ্চ ৩৭ রানের একটা ইনিংস। মিরাজ বরং আট নম্বরে বেশি কার্যকর। ৩১ টা ইনিংসে ৬০৬ রান করেন। এর মধ্যে আছে একটা সেঞ্চুরি ও দু’টো হাফ সেঞ্চুরি।
তবে, এবার তাঁকে সাতে দেখা যেতে পারে। মিরপুরের মিডিয়া সেন্টারে এশিয়া কাপের দল ঘোষণার জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক এ কথা জানান।
নান্নু বলেন, ‘এই ম্যানেজম্যান্টের আন্ডারে মিরাজকেই সাতে কন্সিডার করা হচ্ছিল কয়েকটা সিরিজে। মিরাজের ওপর আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আট নম্বরে অতিরিক্ত পেসার বা স্পিনার যখন যেটা যে কন্ডিশনে দরকার হবে, ওভাবেই কিন্তু আগায়। টিম ম্যানেজম্যান্টের অনেক পরিকল্পনা আছে, যেগুলো এখানে শেয়ার করতে পারি না। ম্যানেজম্যান্টের পরিকল্পনা নিয়ে সমন্বিত সিদ্ধান্ত নিয়েই দলটা তৈরি করা হয়েছে।’
সাত নম্বরের কথা বিবেচনা করে দলে আছেন শামিম হোসেন পাটোয়ারি। আফগানিস্তানও এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফর্ম দিয়ে তিনি এশিয়া কাপের দলে জায়গা পেয়েছেন।
শামিমের ব্যাপারে নান্নু বলেন, ‘শামীম আমাদের এইচপিতে ছিল আন্ডার নাইন্টিন থেকে আসার পর। আমাদের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের ক্রিকেটার। মাঝখানে ২১ বিশ্বকাপের পর পারফরম্যান্স একটু ডিক্লাইন ছিল। তারপরে ওভারকাম করেছে। যতগুলো সিরিজ গেছে, শেষ টি-টোয়েন্টিতেও যথেষ্ট ভালো খেলেছে। ওর অবশ্যই ক্যাপাবিলিটি আছে ভালো ক্রিকেট খেলার। ওই আত্মবিশ্বাসেই আমরা ওকে নিয়ে এগোচ্ছি।’
সৌম্য সরকার ও শেখ মেহেদী হাসান – এই দু’জনের মধ্যে দলে আছেন মেহেদী। ইমার্জিং এশিয়া কাপে ভাল ফর্মে ছিলেন তিনি। তাঁর ব্যাপারে আশাবাদী নির্বাচকরা।
নান্নু বলেন, ‘শেখ মেহেদী মাঝখানে বিপিএলে ইনজুরিতে পড়েছিল। অনেকদিন ভুগেছে। তারপরেও যেহেতু আমাদের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ছিল। ইমার্জিং কাপেও যথেষ্ট ভালো করেছে। আশা করছি নিজেকে মেলে ধরতে পারবে এশিয়া কাপে সুযোগ পেলে।’