বাবা আব্দুল কাদিরের উচ্চতায় যেতে পারেননি উসমান কাদির। তবে, বাবার মতো লেগস্পিন শৈলীতে নজর কেড়েছিলেন সবার। অবশ্য প্রতিভার প্রস্ফুটন ঘটাতে না ঘটাতেই দল থেকে বাদ পড়ে যান তিনি। গত বছর সেই যে দল থেকে বাদ পড়লেন, এরপর আর সুযোগ মেলেনি।
তবে যতটুকু সুযোগ পেয়েছিলেন, তার পিছনে স্বজনপ্রীতির দুর্নামই জুটেছিল তাঁর কপালে। ২০২০ সালে যখন পাকিস্তান দলে সুযোগ পেলেন তখন ইমরান খান দেশটির প্রধানমন্ত্রী। ইমরান খান আবার আব্দুল কাদিরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। স্বজনপ্রীতি সুবাদের দলভূক্ত হওয়ার অভিযোগ তাই উসমানের দিকে ধেঁয়ে এসেছিল।
তাছাড়া, তখনকার অধিনায়ক বাবর আজমের সাথেও উসমানের বন্ধুত্ব প্রায় ১৫ বছরের। সব মিলিয়ে, পাকিস্তান দলে যখনই সুযোগ পেয়েছেন, নানা সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। অবশ্য এবার সে সব পক্ষপাতিত্বের কথা অস্বীকার করলেন এই স্পিনার।
ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উসমান কাদির বলেছেন, ‘বাবরের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব বেশ পুরনো। অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে ট্রায়াল দিতে গিয়ে আমাদের পরিচয়। এটা ঠিক যে বাবর অধিনায়ক হওয়ার পরই আমি পাকিস্তান দলে প্রথমবার দলে সুযোগ পেয়েছিলাম। তবে এর মানে এই নয় যে, তাঁর কারণে দলে সুযোগ পেয়েছিলাম।’
মিসবাহ’র মাধ্যমে দলে আসেন কাদির, জানালেন কাদির নিজেই। বললেন, ‘আমাকে দলে এনেছিলাম মিসবাহ উল হক। কথাগুলো এর আগেও বলেছি। তা ছাড়া বাবর এটা করবেই বা কেন? এটা তো ওর দল নয়, এটা পাকিস্তান দল। সে নিজেও এ কথা পরে স্বীকার করেছে।’
তিনি আরো যুক্ত করে বলেন, ‘প্রায়ই বাবরের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব নিয়ে সমালোচনা হয়। যদি ওর সঙ্গে বন্ধুত্বের কারণেই সুযোগ পেয়ে থাকি তাহলে ও এখনো অধিনায়ক থাকা সত্ত্বেও আমি দল থেকে বাদ পড়লাম কেন? সত্যি বলতে, বাবরের সঙ্গে বন্ধুত্ব আমার লাভের চেয়ে ক্ষতিই করেছে বেশি। এমন না, বাবর নিজেও চাপ অনুভব করেনি। ওর উপরেও অনেক চাপ সৃষ্টি হয়েছিল।’
পাকিস্তানের হয়ে এখন পর্যন্ত ২৩ টি-টোয়েন্টি ও একটি ওয়ানডে খেলেছেন উসমান কাদির। সেখানে টি-টোয়েন্টিতে ২৯ ও ওয়ানডেতে একটি উইকেট পেয়েছেন তিনি। তবে, জাতীয় দলে তিনি একেবারেই অনিয়মিত।