উত্তাপটা টের পেয়েছেন তিলক ভার্মা

উইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারত হেরেছিল ৩-২ ব্যবধানে। তবে এ সিরিজে অনুজ্জ্বল ভারতের হয়ে ঠিকই উজ্জ্বল ছিলেন তিলক ভার্মা। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেই সিরিজে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭৩ এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। যেখানে বাঁহাতি এ ব্যাটারের ব্যাটিং গড় ছিল ৫৭.৬৬। স্ট্রাইকরেটটাও বেশ ঈর্ষণীয়, ১৪০.৬৫!

ব্যাস। ২০ বছর বয়সী তিলক ভার্মার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে গিয়েছে এই সিরিজের মাধ্যমেই। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসতেও হয়নি বিলম্ব। সুযোগ পেয়ে যান ভারতের এশিয়া কাপ স্কোয়াডে। অপেক্ষায় আছেন বিশ্বকাপ দলে নিজের জায়গা নিশ্চিত করার পথেও।

তবে এমন দুর্দান্ত  শুরুর পরই যেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কাঠিন্যতা বুঝতে পেরে গেলেন তিলক ভার্মা। উড়তে থাকা এ বাঁ-হাতি ব্যাটারকে মাটিতে নামিয়ে আনলো আইরিশ বোলাররা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ মিলিয়ে তিলক নিজের নামের পাশে যোগ করতে পেরেছেন মোটে ১ রান। ফলত, ব্যাটিং গড়টা ৫৭.৬৬ থেকে নেমে এসেছে ৩৪.৮-এ।

অবশ্য তিলক ভার্মার এমন ব্যাটিং ব্যর্থতাকে সাময়িকই ভাবছেন আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন কোচ সীতাংশু কোটাক। তাঁর মতে, এখনই তিলককে নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। কয়েকটা সিরিজ খেললেই সে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।

এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘তিলক পরিশ্রমী। ও সব সময় অনুশীলন করতে চাই। ওর সাথে শট সিলেকশন সহ মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার নিয়ে কথা হয়। যে কোনো সফরে আমরা ট্যাক্টিক্যাল ব্যাপার গুলো নিয়ে আলোচনা করে। সে তাঁর মতামত দেয়, কিভাবে ইনিংস বিল্ডাপ করা যায়, কিভাবে নিখুঁত ব্যাটিং করা যায়। তবে আমরা টেকনিক্যাল ব্যাপার নিয়ে কথা কম বলি। কারণ আপনি চাইলেই, একজন ব্যাটারে সহজাত টেকনিক পরিবর্তন করতে পারবেন না।’

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জেতায় সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেছে ভারতের। তাই শেষ ম্যাচে কি কোনো পরিবর্তন আসবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সীতাংশু কোটাক বলেন, ‘আসলে খেলোয়াড় রোটেট করার সুযোগ কম। এটি যদি ৫ ম্যাচের সিরিজ হতো তাহলে ভাবা যেত সেটি নিয়ে। এটা সংক্ষিপ্ত সিরিজ। তারপরও আমরা শেষ ম্যাচে কোনো পরিবর্তন করা যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবছি। হয়তো কাউকে বিশ্রামে রাখা হতে পারে। কিংবা সেটি নাও হতে পারে। আর আমরা শতভাগ সফল হয়েই সিরিজটা শেষ করতে চাই।’

ভারত মূলত এবারের আয়ারল্যান্ড সফরে মূল দলের অনেক ক্রিকেটারকে বাদেই দল ঘোষণা করেছে। এই দলে নিয়মিত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া নেই। শুধু অধিনায়ক নয়, প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়কেও এই সফরে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় দল সামলাচ্ছেন, ভারত এ দলের কোচ সীতাংশু কোটাক। তবে এই সিরিজ দিয়েই দীর্ঘদিন বাদে দলে ফিরেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ ও প্রসিধ কৃষ্ণা।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link