হার দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করলো বাংলাদেশ। ১৬৪ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়ে যদিও বাংলাদেশি বোলাররা লড়েছিল বেশ। তবে শেষ পর্যন্ত তা শ্রীলঙ্কাকে আটকে রাখার মতো যথেষ্ট ছিল না। চারিত আসালাঙ্কা আর সামারাবিক্রমার ফিফটিতে ৬১ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
লঙ্কানদের বিপক্ষে এমন হারে এশিয়া কাপে এখন টিকে থাকাটা কিছুটা কঠিনই হয়ে গেল বাংলাদেশের জন্য। তবে এমন বাজে হারের তিক্ততা থেকেই শিক্ষা নিতে চান বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বোলাররা অনেক দিন ধরেই তাদের কাজটি করছে। তবে যথেষ্ট রান ছিল না। আমরা এ ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’
অবশ্য দলের তরুণ খেলোয়াড়রা যে ম্যাচের সময় চাপে ছিলেন, তা স্বীকার করতে দ্বিধা করেননি সাকিব। তিনি বলেন, ‘অনেকেই প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ খেলছে। তাই ম্যাচের সময় চাপ অনুভূব করাটা স্বাভাবিক। তবে তাঁরা ভাল খেলেছে বলেই এই মঞ্চের ড্রেসিংরুমে সুযোগ পেয়েছে। আমি তাদের নিয়ে আশাবাদী।’
বাজে ব্যাটিং প্রসঙ্গে সাকিব আরো যুক্ত করে বলেন, ‘এটা ৩০০ রানের উইকেট ছিল না। ২২০-ই চ্যালেঞ্জিং স্কোর হতে পারতো। তবে আমরা ব্যাটিংটা দলগত ভাবে ভাল করতে পারিনি। বোলিংয়ে আমরা ভাল করলেও রানটা যথেষ্ট ছিল না। তবে আমাদের ফিরে আসতে হবে। দিন দুয়েক বাদেই আমাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এখন আমাদের সেই ম্যাচে নজর দিতে হবে।’
সাকিবের মতো উইকেটকে কিছুটা চ্যালেঞ্জিং মনে করেছেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাও। গুরুত্বপূর্ণ এ জয়ের পথে পাথিরানা ও ধনঞ্জয়ার বোলিং আর আসালাঙ্কা ও সামারাবিক্রমার ব্যাটিংয়ে কৃতিত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘উইকেট কঠিন ছিল। পাথিরান আর ধনঞ্জয়া দারুণ বল করেছে। আর ব্যাটিংয়ে এসে শুরুতে চাপে পড়লেও আসালাঙ্কা আর সামারাবিক্রমা সাবলীল ব্যাটিং করেছে। আসালাঙ্কা এমনিতেও গত দুই বছর ধরে দারুণ ব্যাটিং করছে। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের জন্য ভাল ব্যাপার।’
৩২ রানে ৪ উইকেট পাওয়া পাথিরানার হাতে গিয়েছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বারের মতো ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ছিলেন এ পেসার। তবে নিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের নেপথ্যে যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অবদান আছে, সেটি ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন পাথিরানা।
তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমি ডেথ ওভারে স্লোয়ার বল করি। আর এ ম্যাচেও সেই কৌশলে আমি সফল হয়েছি। আমার অ্যাকশন টা কিছুটা আনপ্রেডিক্টেবল। এটা আমার জন্য আলাদা সুবিধা দেয়।’
এশিয়া কাপের সেরা চারের দৌড়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচটি জিততেই হবে বাংলাদেশকে। তবে পাল্লেকেলেতে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করা বাংলাদেশকে পরের ম্যাচটি খেলতে ধরতে হবে পাকিস্তানের বিমান। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর লাহোরে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে।