শ্রীলঙ্কার দেওয়া লক্ষ্যটা বাংলাদেশের হাতের নাগালেই ছিল। এশিয়া কাপের ফাইনালের পথে দিব্যি টিকে থাকতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু লঙ্কানদের বিপক্ষে জয় কিংবা ফাইনাল স্বপ্ন, দুটোই শেষমেশ ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। ২১ রানের হারে এখন সুপার ফোর থেকেই ছিটকে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ।
২৫৮ রানের লক্ষ্যে ২৩৬ এই-অলআউট হওয়া বাংলাদেশের গলদটা আপাত দৃষ্টিতে ব্যাটিং ব্যর্থতাই। তবে দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আবার দুষলেন বাজে বোলিংকেও। ম্যাচশেষে নিজের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘টস জেতাটা ভাল ব্যাপার ছিল। তবে আমরা শুরুতে ভাল বোলিং করতে পারিনি। নতুন বলে ওরা যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তা দুর্দান্ত। সাদিরা সামারাবিক্রমাই মূলত আমাদের কাছ থেকে ম্যাচ কেড়ে নিয়েছে।’
বোলিংয়ের পর ব্যাটিং ব্যর্থতার কথাও অবশ্য স্বীকার করেছেন সাকিব। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই উইকেটে ২৬০ রান চেজ করার জন্য শুরুটা ভাল হওয়া দরকার। আমরা ৫৫ রান প্রথম উইকেটে করেছিলাম। তবে পরে কোন জুটিই তেমন দাঁড়াতে পারেনি। দ্রুত উইকেট পড়ার ফলে ম্যাচটাও হাত ফসকে বেরিয়ে গিয়েছে। তাওহিদ ভাল ব্যাট করেছে। আসলে অনেক যদি, কিন্তু থাকবে। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হয়নি।’
লঙ্কানদের ইনিংসে ৯৩ রান করে লড়াই করার মতো এক সংগ্রহ এনে দিয়েছিলেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। ম্যাচসেরার পুরস্কার তাই উঠেছে এ ব্যাটারের হাতে। ম্যাচশেষে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি যখন ব্যাট করতে যাই, তখন উইকেট অতো সহজ ছিল না। আমার পরিকল্পনা ছিল, বল কিছুটা দেরিতে খেলা। এজন্য শুরুতে আমি কখনোই এগিয়ে খেলিনি। শেষদিকে দলের সংগ্রহ ২৫০ নেওয়ার দিকেই মূলত আমার লক্ষ্য ছিল। আমি সেটা পেরেছি। আর পরের স্পিনাররা দারুণ বল করেছে। এ কারণেই আমরা জিততে পেরেছি।’
সাকিব নিজেদের বোলিং ব্যর্থতার কথা সামনে আনলেও লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা আবার মনে করেন উল্টোটা। তাঁর দৃষ্টিতে, দারুণ বোলিং করেছে বাংলাদেশি বোলাররা। এ নিয়ে ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ‘ওরা ভাল করেছে। বিশেষত, হাসান মাহমুদ দুর্দান্ত ছিল।’
এরপর নিজেদের ম্যাচ জয় নিয়ে তিনি বলেন,’ ব্যাটিংয়ে কুশাল মেন্ডিস আর সামারাবিক্রমা ভাল করেছে। আর বোলিংয়ে আমাদের একটা সমন্বয় দরকার ছিল। যেমন থিকশানা রান দিলেও উইকেট পেয়েছে। আর আমি বোলিংয়ে সীমটাকে ঠিকঠাক কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। এবং সেটা কাজেও দিয়েছে।’