বিরাট-রোহিতরা আর বোলিং করেন না কেন?

ভারতের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৮ হাজারের বেশি রান করার পাশাপাশি বল হাতে ১৫৪ টি উইকেট নিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। পার্ট টাইমারদের মধ্যে সৌরভ গাঙ্গুলিও নিয়েছেন ১০০-র বেশি উইকেট।

এ ছাড়া বীরেন্দ্র শেবাগ, সুরেশ রায়নারাও ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে বল হাতে তুলে নিতেন। কিন্তু কালের ধারায় ভারতীয় দলে যেন এখন অনেক কিছু পাল্টে গিয়েছে। এখনকার টপঅর্ডার ব্যাটারদের আর বল হাতেই দেখা যায় না।

রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি যদিও বা বোলিং করতে জানেন কিন্তু বিগত বছরগুলোতে ম্যাচে তার কোনো নজিরই মেলেনি। শিখর ধাওয়ান আর সুরিয়াকুমার যাদবদের আবার অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে বোলিং করারই অনুমতি নেই।

এই সময়ে এসে ভারতীয় দলের টপঅর্ডাররা কেউ পার্টটাইমার বোলার ভূমিকায় আবর্তিত হতে পারছে না কেন? ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড় মনে করেন, মূলত ৩০ গজের সার্কেলে ফিল্ডার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণেই এখন পার্ট টাইমার বোলারদের দেখা যায় না।

এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখুন, শুধু ভারত নয়। পার্ট টাইমারদেট ব্যবহার অন্যান্য দেশও কমিয়ে দিয়েছে। এর মূল কারণ আগে সার্কেলের ভিতরে ৪ জন ফিল্ডার রাখা যেত, এখন সেটা বেড়ে ৫ জনে বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে। তাছাড়া, এক ইনিংসে দুটি নতুন বলের ব্যবহার শুরু হওয়ায় মিডল ওভারগুলোতে স্বীকৃত বোলারদের দিয়েই বোলিং করাতে হয়।’

এ নিয়ে তিনি আরো যুক্ত করে বলেন, ‘আমাদের ব্যাটাররা যে প্র্যাকটিস সেশনে বল করে না, তা কিন্তু নয়। কিন্তু ম্যাচে তাঁরা সেই সুযোগটা পায় না নিয়ম পরিবর্তনের কারণেই। শচীন, শেবাগ, গাঙ্গুলিরা যখন প্রতি নিয়ত ৪/৫ ওভার বল করতো তখন সার্কেলে ৪ জন ফিল্ডার রাখা যেত। শুধু তাই নয় তখন একটি ইনিংসে একটি বল ব্যবহার করা হতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আর এখন সার্কেলে রাখতে হয় ৫ জন এবং ইনিংসপ্রতি দুই দিক দিয়ে দুটি নতুন বলে খেলানো হয়। সব মিলিয়ে এই সব নিয়মের বেড়াজালেই পার্টটাইমারদের ব্যবহারের দিক দিয়ে সরে এসেছে ভারত।’

ভারতীয় দলে অবশ্য এখন পার্টটাইমার বোলারের ব্যবহারের প্রয়োজনও তেমন নেই। বুমরাহ, সিরাজ, কুলদ্বীপ ছাড়াও বল করেন হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেলরা। সব মিলিয়ে এই বোলিং ইউনিট নিয়ে সিংহভাগ সময়ে নির্ভারই থাকেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link