কি দারুণভাবেই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও জয় তুলে নিয়েছিল তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশংসায় ভাসছিলেন বাবর আজম, রিজওয়ানরা। কিন্তু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হারার পরে হুট করেই বদলে গিয়েছে সব।
চারপাশ থেকে সমালোচনা শুনতে হচ্ছে তাঁদের। দলটির ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগ নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। এবার ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম।
বর্তমান দলটিতে ফিটনেস পরীক্ষার অভাব তুলে ধরে নিয়মিত ফিটনেস মূল্যায়নের উপর জোর দিয়েছেন তিনি। এই তারকা বলেন, ‘আমি এই খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে চিন্তিত। এখন ফিটনেস পরীক্ষা নেই। মিসবাহ যখন কোচ আর নির্বাচক ছিলেন, তখন ইয়ো-ইয়ো টেস্ট এবং অন্যান্য পরীক্ষা করতেন।
তিনি আরো যোগ করেন, ‘একজন পেশাদার ক্রিকেটারকে মাসে অন্তত একবার ফিটনেস টেস্ট দেয়া উচিত। আপনি যদি এটি না করেন তবে আপনি এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন (ভারতের বিপক্ষে পরাজয়)।’
সত্যি বলতে, ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বসেরা দলগুলোর তুলনায় পাকিস্তান বেশ পিছিয়ে আছে। ১/২ রান বাঁচানো কিংবা হাফ চান্স গুলো কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে পাক ক্রিকেটাররা এখনো পারদর্শী হয়ে উঠতে পারেননি। সেজন্যই মাঠে প্রতিপক্ষ ব্যাটারকে চাপে রাখা কঠিন হয়ে যায় তাঁদের জন্য।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) মধ্যে অস্থিরতার কথাও তুলে ধরেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। গত তিন বছরে চেয়ারম্যান পদে ঘন ঘন পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া এমন অদলবদল বোর্ডের সদস্য ও ক্রিকেটারদের মধ্যেই দ্বিধা তৈরি করেছে বলেও মত তাঁর।
এই বাঁ-হাতি বলেন, ‘গত তিন বছরে তিনজন চেয়ারম্যানকে দেখেছি পিসিবিতে। এটি দলের সদস্য এবং ম্যানেজমেন্টের মধ্যে একটি ভীতি তৈরি করেছিল যে তাঁরা পরবর্তী সিরিজের অংশ হবে কি না।’
সবশেষে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে নিজের হতাশা প্রকাশ করেন সুইংয়ের সুলতান। তিনি বলেন, ‘১৫৪ রানে দুই উইকেট, এরপর ১৯১ রানে অলআউট এটা সত্যিই হতাশাজনক।’