নিকোলাস কারটন, কানাডার ক্যারিবীয় নায়ক

নিকোলাস কারটন, নাম শুনেই সম্ভবত নিকোলাস পুরানের কথা মনে পড়েছে অনেকের। শুধু নাম নয়, দু’জনের জন্ম ওয়েস্ট ইন্ডিজেই। তবে আজকের আলোচনা কেবল কারটনকে নিয়ে; বিশ্ব মঞ্চে কানাডাকে এগিয়ে নেয়া এক নায়ক তিনি। সবশেষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দলীয় ব্যর্থতার মাঝেও অনবদ্য ইনিংস এসেছে তাঁর ব্যাটে।

বার্বাডোজে জন্ম নেয়া এই ক্রিকেটারের বেড়ে উঠেছেন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে তাঁর হাতেখড়ি হয়েছে এ দেশেই, তবে ভাগ্যের সন্ধানে মায়ের জন্মস্থান কানাডায় পাড়ি দেন তিনি; এরপর চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তাঁদের জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বনে গিয়েছেন।

এদিন আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচে ৩৫ বলে ৪৯ রান করেছেন এই ব্যাটার। তিন চার ও দুই ছয়ে সাজানো ইনিংসটিতে ভর করেই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে কানাডা। হয়তো জয়ের জন্য সেটা যথেষ্ট নয়, তবে শুরুর বিপর্যয়ের পরেও এমন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতভাবেই সাহস বাড়াবে তাঁদের।

তিনি যখন উইকেটে আসেন তখন মাত্র ৪২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল দলটি। খানিক পরে আরো এক ব্যাটার আউট হলে বিপদ বাড়ে, কিন্তু সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই শুরু করেন কিরটন। শ্রেয়াস মোভভাকে সঙ্গী করে গড়েন ৭৫ রানের জুটি।

যদিও দারুণ একটি ইনিংসের সমাপ্তি হয়েছে আক্ষেপের মধ্য দিয়েই। উনিশতম ওভারে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছিলেন, ফলে হাফসেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে থেকেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। আগের ম্যাচেই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন তিনি, ভাগ্য একটু সুপ্রসন্ন হলেই ‘ব্যাক টু ব্যাক’ ফিফটির অর্জন যোগ হতো তাঁর ঝুলিতে।

তবে এই তারকা যা করেছেন সেটি নেহাৎ ছোটখাটো কিছু নয়। আয়ারল্যান্ডের মত অভিজ্ঞ দলের বিপক্ষেও যেভাবে নিজের মত করে খেলেছেন তিনি, দলের হাল ধরেছেন সেটা সত্যিই প্রশংসনীয় – বিশ্বকাপে তাঁর এমন পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link