চাপমুক্ত হেড যেন আরও খাপখোলা

এ যেন ভিন্ন এক ট্রাভিস হেড, দেখে শুনে, চাপহীনভাবে খেললেন এক বিধ্বংসী ইনিংস। বিশ্বকাপে নিজেদের বাঁচা-মরার লড়ায়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ১৮১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় স্কটল্যান্ড। ব্যাটার ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেনের অসাধারণ অর্ধশতক এর সাথে অধিনায়ক ম্যাথিউ ক্রসের অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংসের সুবাদে ১৮০ রানে পৌছায় স্কটল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোচট খায় অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারে মাত্র এক রানে সাজঘরে ফেরেন উদ্বোধনী ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার। তবে অধিনায়ক মিশেল মার্শকে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার ট্রাভিস হেড। নিজের স্বভাবের কিছুটা বিপরীতে খেলতে থাকেন তিনি।

তৃতীয় ওভারের শেষ বলে নিজের প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান হেড। তবে পরবর্তী ওভারে আবারও দুইটি বাউন্ডারি হাকিয়ে নিজের স্বরুপে ফেরেন তিনি। প্রতি ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা সচল রাখেন হেড। পাওয়ার প্লের পরের ওভারে ইনিংসের প্রথম ছক্কা হাঁকান হেড। তবে এর মধ্যে অধিনায়ক মিচেল মার্শকে হারান তিনি৷

একদিকে নিয়মিত বিরতিতে উকেট যেতে থাকলেও অন্য প্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন হেড। স্কটিশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তাদের উপর বেশি চড়াও হতে পারছিলেন না তিনি। তবে রানের খাতা সচল রাখছিলেন। তবে ম্যাক্সওয়েলের আউটের পর মার্কাস স্টয়নিসকে নিয়ে ইনিংসের গতি বাড়ান হেড।

নিজের স্বভাবের বিপরীতে বিধ্বংসী হওয়া স্টয়নিসকে সঙ্গ দিতে থাকেন হেড। ইনিংসের পনেরোতম ওভারে গিয়ে নিজের অর্ধশতক তোলেন তিনি। ৪৫ বলে করা এই অর্ধশতকের পরেই নিজের ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছিলেন হেড।

১৬তম ওভারে বল করতে আসা শাফিয়ান শরিফের তিন বলে তিন ছক্কা হাকিয়ে ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ অস্ট্রেলিয়ার দিকে আসেন তিনি। তবে চতুর্থ বলে আবারও বড় শট খেলতে গিয়ে বাউন্ডারিতে মাইকেল জোন্সের তালুবন্দি হন তিনি। তাঁর ৪৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কার মার।

নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচে তিন জয়ে আগেই সুপার এইটে চলে গেছে অস্ট্রেলিয়া। আর তাইতো হেডের পুরো ইনিংস জুড়েই ছিল চাপহীনতার ছাপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link