আদতে ডেড রাবার ম্যাচ, তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা করে নেয়ার দৌড়ে থাকা ইংল্যান্ডের জন্য নেদারল্যান্ডস বিপক্ষে লড়াই মোটেই কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। আর এই লড়াইয়ে ১৬০ রানের শেষপর্যন্ত জয় পেয়েছে ইংলিশরা, টানা পাঁচ হারের পর অবশেষে পয়েন্টের দেখা পেয়েছে জস বাটলারের দল।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হতে চেয়েছিলেন দুই ব্রিটিশ ওপেনার। কিন্তু ১৫ রান করেই আউট হতে হয় জনি বেয়ারস্টোকে, অন্য প্রান্তে অবশ্য ডেভিড মালান ছিলেন দারুণ ছন্দে। জো রুটকে সঙ্গে নিয়ে গড়েছেন ৮৫ রানের জুটি, সেই সাথে পার করিয়েছেন শতরানের গন্ডি।
যদিও ২৮ রানের মাথায় রুট আউট হওয়ার খানিক পরেই রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। সেঞ্চুরি থেকে তেরো রান দূরে থাকতে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় তাঁকে। পরপর দুই সেট ব্যাটারের বিদায়ে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড, অফ ফর্মে থাকা মিডল অর্ডার সেখান থেকে বের করে আনতে পারেনি তাঁদের। বাটলার, ব্রুক, মঈন আলী প্রত্যেকে আউট হয়েছেন অল্পতেই।
ব্যতিক্রম ছিলেন বেন স্টোকস, ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক এদিন আবারো নায়ক হয়ে ওঠেন; খেলেন ৮৪ বলে ১০৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করার পথে ক্রিস ওকসের সঙ্গে ১২৯ রানের জুটি করেছিলেন তিনি। এই ম্যাচে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন ওকসও – এই দুজনের ডেথ ওভারের ঝড়ে শেষমেশ ৩৩৯ রান জমা করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
পাহাড়সম রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতেই ইংলিশ পেসারদের তোপের মুখে পড়ে নেদারল্যান্ডস। দুই উইকেট হারিয়ে তাঁরা দশ ওভারে মাত্র ২৩ রান তুলতে সক্ষম হয়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধের চেষ্টা করে ডাচ ব্যাটাররা। কিন্তু ওপেনার বারেসি রান আউট হলে ভাঙে ৫৫ রানের সেই জুটি।
সাইব্রান্ড এঞ্জেলব্রেখটও বেশিদূর যেতে পারেননি, ডেভিড উইলির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। দলীয় ১০৪ রানের মাথায় ডি লিড আউট হলে বড় ব্যবধানে পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় তাঁদের। তবু ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেছেন স্কট এডওয়ার্ডস আর তেজা নিদামানুরু; কিন্তু ৩৮ রান করে এডওয়ার্ডস ফিরলে আবারো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ইউরোপীয়ান দলটি।
মাত্র ১৬ রানের মধ্যে শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানে গুটিয়ে যায় তাঁরা। ১৬০ রানের বিশাল এই জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে ইংল্যান্ড শিবিরে।