অজন্তা মেন্ডিস, সুনীল নারাইন কিংবা মাহিশ থিকসানা – এদের কাউকেই অফ স্পিনার পরিচয়ে সীমাবদ্ধ রাখা যায় না; তাঁরা বলকে স্পিন করাতে জানেন আবার সিম বা সুইং করাতে জানেন। আলিস ইসলাম তাঁদের মতই, ডানহাতি অফ স্পিনার পরিচয় ছাপিয়ে এখন রীতিমতো ‘মিস্ট্রি স্পিনার’। বিপিএলের গণ্ডি পেরিয়ে সুদূর অস্ট্রেলিয়াতেও পারফর্ম করছেন তিনি।
টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ এ দল মুখোমুখি হয়েছে মেলবোর্ন রেনিগেডসের। আর সেখানেই নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন এই বোলার; চার ওভার হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট, বিনিময়ে খরচ করেছেন ৩১ রান। সংখ্যাতত্ত্বে ফুটে না উঠলেও ম্যাচ পরিস্থিতিতে তাঁর এমন স্পেল বেশ কার্যকরী ছিল বটে।
প্রথম দুই ওভারে ২১ রান দেয়া সত্ত্বেও দারুণ প্রত্যাবর্তন করেছেন তিনি, নিজের শেষ দুই ওভারে মিডল অর্ডারের উইকেট তুলে নিয়ে টিম টাইগার্সকে জয়ের পথ চিনিয়ে দিয়েছেন।
আলিসের নামের সঙ্গে বিপিএল মিশে থাকবে সবসময়ই। ২০১৯ আসরে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক সহ চার উইকেট নিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তিনি; এরপর অবশ্য অ্যাকশনে ত্রুটির কারণে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাঁকে। সব প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে এরপর মাঠে ফিরলেও নিয়মিত ম্যাচ খেলা হয়নি তাঁর।
তবে সবশেষ মৌসুমে কুমিল্লার হয়ে সুযোগ পান এই ডানহাতি; এরপরই চমক দেখান। কখনো পেসারদের মত ইনসুইং ডেলিভারি আবার কখনো আউটসুইং, খানিক বাদে পুরোদস্তুর অফ স্পিন কিংবা ক্যারাম – এমন রহস্য ঘেরা কাউকে দলের বাইরে রাখতে চায়নি টিম ম্যানেজম্যান্ট। তাই তো শ্রীলঙ্কা সিরিজেই ডাক পান তিনি, কিন্তু ইনজুরির কারণে ছিটকে যেতে হয় সেবার।
রিশাদ হোসেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনের আক্ষেপ অনেকটাই পুষিয়ে দিয়েছেন; এখন আলিস ইসলাম হয়তো বৈচিত্র্যের ঘাটতিটুকু পূরণ করতে পারবেন ঠিকঠাক সুযোগ পেলে। তবে সেজন্য ধারাবাহিক পারফর্ম করতে হবে তাঁকে, তারপরই জাতীয় দলের জার্সি গায়ে উঠবে তাঁর।