একটা দায়মুক্তি করা প্রয়োজন। মিথ্যে তথ্য কিংবা আংশিক সত্য তথ্য় প্রকাশের জন্য প্রথমেই খেলা ৭১ দোষ স্বীকার করছে বটে। ঘটনাটা মূলত কানপুরের। হুট করেই টাইগার সমর্থককে মারধোরের একটা খবর ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। মূলত ঘটনার সূত্রপাত কথিত সমর্থকের অভিযোগের ভিত্তিতে।
কিন্তু ঘটনার সত্যতার জট খুলতে শুরু করেছে এক এক করে। তার অভিযোগের সত্যতা যেন এক ধুম্রজাল। কানপুর স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা কর্মীরা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে। তাতে কোন মারমারির সন্ধান মেলেনি। এছাড়াও কথিত সমর্থকের শরীরে কোন চোটের অস্তিত্বও নেই। ডাক্তাররা ডি-হাইড্রেশন হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
কানপুর টেস্টের শুরুতেই হামলার হুমকি ছিল। ঠিক সে কারণেই ভারত ও বাংলাদেশ দলকে দেওয়া হচ্ছে জেড-প্লাস নিরাপত্তা। থমথমে একটা পরিস্থিতি ছিল কানপুর টেস্টকে কেন্দ্র করে। এমন সময়ে এই ধরণের অভিযোগ ভারতের ক্রিকেটকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। বেশ বিব্রতও করেছে ভারতীয় সমর্থকদের। এর ঘটনার পেছনে আরও কোন কারণ রয়েছে কি-না সে বিষয়ে তাই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের ক্রিকেট পাড়ায় যাদের নিয়মিত চলাচল রয়েছে, তাদের টাইগার রবি নামক সেই সমর্থক সম্পর্কে অল্প-বিস্তর জানাশোনা রয়েছে। তার সম্পর্কে ইতিবাচক তথ্য সরবরাহ করবে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। তিনি অদৃশ্য এক বলয়ের মাঝে নিজেকে চিন্তা করতে পছন্দ করেন। নিজেকে বেশ শক্তিশালি এক চরিত্র মনে করেন।
খেলোয়াড়দের সাথে একটা সখ্যতা রয়েছে তার। প্রায়শই তাকে দেখা যায় বিনা প্রয়োজনে হম্বিতম্বি করতে। খেলোয়াড়দের কল্যাণে বেশকিছু পৃষ্ঠপোষকও পেয়েছেন টাইগার রবি। তিনি খেলোয়াড়দের টুকটাক কাজ করে দেন বিধায়, রয়েছেন তাদের গুডবুকে। আর সেটারই সর্বত্র ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
তাছাড়া একটু আলোচনায় থাকতে হরহামেশাই উদ্ভট সব কথা ফুলঝুরি ফোটে তার মুখ থেকে। সেই সুযোগটা তিনি আরও একবার কাজে লাগাতে চেয়েছেন। ভারতের থাকা এক বাংলাদেশি সাংবাদিককে জড়িয়েছেন নিজের বানোয়াট গল্পের সাথে। যদিও সেই সাংবাদিকও জানিয়েছেন মারধোর করার কোন দৃশ্য তিনি দেখেননি।
সার্বিক পরিস্থিতি বলছে, ডিহাইড্রেশনের জন্যে হওয়া শারীরিক অস্বস্তিকে তিনি কাজে লাগিয়ে আলোচনায় আসতে চেয়েছেন। সে জন্য এক প্রকার মিথ্যে অভিযোগ তুলেছেন ভারতীয় সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তবে কানপুর টেস্টের পূর্বের হুমকির কথা মাথায় রেখে এই ঘটনার শেকড় হয়ত আরও খানিকটা ভেতরে থাকতে পারে।