নেইমারহীন ব্রাজিল কতখানি দুর্বল, তা ২০১৪ সালের বিশ্বকাপেই জার্মানির বিপক্ষে দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। সেসময় সাত সাতটি গোলহজম করেছিলো ব্রাজিল, বিপরীতে সান্তনা মূলক একটি গোল করে তাঁরা। না, নেইমার ব্রাজিলের রক্ষণ ভাগের দায়িত্বে নেই। তবে নেইমার মাঠে থাকলে সেলেসাওরা পায় বাড়তি শক্তি।
ইনজুরি আর নেইমার যেন একই সুতোয় আবদ্ধ। নেইমার যদিও পালাতে চেয়েছেন বহুবার, তবে ইনজুরি খোদ নিজেই চলে আসে নেইমারের দুয়ারে। ব্যতিক্রম ঘটেনি এবারের কোপা আমেরিকার আসরেও। এতে যেমন নেইমার তাঁর উজ্জল ক্যারিয়ারকে অনুভব করেছেন, সেইসাথে ব্রাজিলও অনুভব করেছে নেইমারের অনুপস্থিতি।
প্রথম ম্যাচেই হোচট খেয়ে বসে কোস্টারিকার বিপক্ষে। তুলনামূলক খর্ব শক্তির দল কোস্টারিকার বিপক্ষে গোল শূন্য ড্রয়ের স্বাদ পায় ব্রাজিল। অনেকটা অপ্রত্যাশিত তবে বাস্তব।
১২৮ ম্যাচে মাঠে নেমে ৭৯ গোল করে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলের তালিকার শীর্ষে আছেন নেইমার। তবে সব পরিসংখ্যান যেন শূণ্যে মিলায় যখন নেইমারকে মাঠের গ্যালারিতে বসে ব্রাজিলের অপ্রত্যাশিত থমকে যাওয়া দেখতে হয়।
কোস্টারিকার বিপক্ষে ম্যাচের পরিসংখ্যানের সবটুকই ছিল ব্রাজিলের পক্ষে। কোস্টারিকার ৫-৩-২ ফরমেশনের বিপরীতে সেলেসাওদের ৪-২-৩-১ ফরমেশন কাজে আসেনি। বারবার আক্রমণ চালিয়েও লা টিকোসদের দুর্গ ভেদ করতে ব্যর্থ হয় ডরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা।
সেই ম্যাচে ১৯ টি শটেও কোনো গোল আসেনি ব্রাজিলের শিবিরে। লক্ষ্যে ছিল মাত্র ৩ টি। বোঝাই যাচ্ছে ম্যাচে নেইমারের উপস্থিতি প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারতো।
কেননা ব্রাজিলের আক্রমণভাগের ধার বেড়ে যায় নেইমারের উপস্থিতিতে। তাইতো কোপা আমেরিকার আগামী ম্যাচগুলোতে কেমন করে ব্রাজিল সেটাই এখন দেখার বিষয়।