আবরার আহমেদ যেন ফিরিয়ে আনলেন সেই ২০০৩ সালের রশিদ লতিফকে। মনে করিয়ে দিলেন বেশ পুরনো এক অপ্রীতিকর ঘটনা। যার জন্য রশিদ লতিফকে দুইটি টেস্ট ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। হুবহু তেমন নয়, তবে আবরারের উদযাপনে সেদিনের মুলতানের স্মৃতিই ভেসে উঠেছে অনেকের চোখের সামনে।
রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের সকাল। আগের দিন ওপেনিংয়ে নামা জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম বেশ দেখে শুনেই খেলছিলেন। ইনিংসের পঞ্চম ওভারটি করতে আসেন মির হামজা। প্রথম বলটা ছুঁড়ে দেন জাকির হাসানকে উদ্দেশ্য করে।
ফ্লিক করেন জাকির। স্কোয়ার লেগে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবরার। ক্যাচ লুফে নেওয়ার আনন্দে উদযাপনে মেতে ওঠেন আবরার, তার সাথে যুক্ত হয় গোটা পাকিস্তান দল। যদিও আম্পায়াররা সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাদের মনে হয়েছিল সঠিকভাবে ক্যাচ তালুবন্দী হয়নি। তাই তারা তৃতীয় আম্পায়ারের সহয়তা নেন।
তাতে দেখা যায় যে, আবরারের হাতে যাওয়ার আগে বল মাটিতে বাউন্স খেয়েছিল। চাইলেই হয়ত আবরারকে দায়মুক্ত করা যায়। এমন নিচু হতে থাকা বলগুলো ঠিকঠাকভাবে ক্যাচ হয়েছে কি-না তা বোঝা বড় দায়। কিন্তু আবরারের ক্ষেত্রে বলটা বেশ আগেভাগেই মাটিতে বাউন্স খেয়েছিল।
আর ঠিক সে কারণেই রশিদ লতিফের স্মৃতি সামনে এসেছে। ২০০৩ সালে মুলতানে বাংলাদেশ প্রায় টেস্ট জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। সেই টেস্ট ম্যাচেই পাকিস্তানের উইকেট রক্ষক রশিদ লতিফ এক নেক্কারজনক ঘটনার মঞ্চায়ন করেন।
অলক কাপালির ব্যাটের খোঁচা লেগে বল চলে যায় উইকেটে পেছনে। সেই ক্যাচটি ঠিকঠাকভাবে তালুবন্দী করতে পারেননি। তার হাত থেকে বল ছুটে যায়। মাটি থেকে বল কুড়িয়ে তিনি গোটা দলকে নিয়ে আনন্দে মাতেন। তখন প্রযুক্তি ততটাও আধুনিক হয়নি। নিত্যনতুন প্রযুক্তিও যুক্ত হয়নি ক্রিকেটের সাথে।
পাকিস্তানের ফিল্ডারদের মিথ্যে আত্মবিশ্বাসের উদযাপন দেখে আম্পায়াররা আর সন্দেহ প্রকাশ করেননি। অগ্যতা অলক কাপালিকে সেদিন প্রতারণার স্বীকার হতে হয়। ঠিক তেমন এক ঘটনারই যেন জন্ম দিতে চলেছিলেন আবরার। যদিও এদফা প্রযুক্তি বাঁচিয়েছে জাকির হাসানকে।