খাবি খেয়ে সিরিজ হার লিটন-সাকিবদের

প্রথমে গুরবাজ ও ইব্রাহিম, এরপর রশিদ-মুজিব। তাদের কল্যাণেই বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবারের মত ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় আফগানিস্তান। গুরবাজ ও ইব্রাহিমের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথমেই ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এরপরে বাংলাদেশকে কোনঠাসা করেন রশিদ খান ও মুজিবুর রহমান, সঙ্গ দেন ফজল হক ফারুকি। তাতেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেয় হাসমতুল্লাহ শাহীদির দল।

প্রথমে গুরবাজ ও ইব্রাহিম, এরপর রশিদ-মুজিব। তাদের কল্যাণেই বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবারের মত ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় আফগানিস্তান। গুরবাজ ও ইব্রাহিমের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথমেই ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এরপরে বাংলাদেশকে কোনঠাসা করেন রশিদ খান ও মুজিবুর রহমান, সঙ্গ দেন ফজল হক ফারুকি। তাতেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেয় হাসমতুল্লাহ শাহীদির দল।

প্রথম ওয়ানডেতে শুরুর দশ ওভার বাংলাদেশকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে ব্যাট হাতে। তাইতো দ্বিতীয় দিনের টস জিতে সোজা বোলিং করবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন লিটন দাস। তবে এইদিন আবারও বিপাকে বাংলাদেশ। এবার বাংলাদেশের বোলাররা খাবি খেলেন।

আফগানিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের সামনে রীতিমত পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশের বোলাররা। শুরু থেকেই বেশ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট চালাতে থাকেন গুরবাজ ও ইব্রাহিম। এই দুইজনের ব্যাটে ভর করে দ্রুতই রান তুলতে থাকে আফগানিস্তান।

অন্যদিকে বাংলাদেশ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেছে একটি উইকেটের জন্যে। তার আগে আগ্রাসী ব্যাটিং করে রহমানুল্লাহ গুরবাজ তুলে নেন নিজের চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি। তিনি সেঞ্চুরি তুলেই থেমে থাকেননি। বরং রান বড় করবার পায়তারা করেছেন। নিজের ক্যারিয়ার সেরা ১৪৫ রানে তিনি সাকিবের শিকারে পরিণত হন।

সেখানে ভাঙে আফগানিস্তানের ব্যাটিং দূর্গ। ৩৭ তম ওভারের শুরুতে বাংলাদেশ অবশেষে দেখা পায় একটি উইকেটের। কিন্তু এরপরই পাশার দান পালটে যেতে থাকে। মাত্র ১৪ ওভারের মাঝে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। ২৫৬ রানে প্রথম উইকেট হারানো আফগানিস্তানের ইনিংস থামে ৩৩১ রানে। বোলিং ইনিংসে বাংলাদেশের হাইলাইটস শেষের ১৪ ওভার। বাকিটায় আফগান ওপেনারদের আধিপত্য।

বিশাল এক লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নামে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে জয় পেতে হলে প্রথমত, নিজেদের রেকর্ড ভাঙতে হবে বাংলাদেশকে। এর আগে ৩২২ রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ত, জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ ২৮৮ তাড়া করে জেতার রেকর্ড রয়েছে। সেটাও ছিল বাংলাদেশের দখলে। এই দুই রেকর্ড টপকে যেতে হতো।

তবে বাংলাদেশের ব্যাটাররা নিজেদের রেকর্ড টপকে তো যেতেই পারেননি। বরং খোলসের মধ্য আটকা থেকেছেন। নিজেদের ছায়া হয়ে থেকেছেন। ফজল হক ফারুকি আর মুজিবুর রহমানকে শুরুতে সামলে নিতেই হিমশিম খেয়েছেন, উইকেট দিয়েছেন লিটন, নাইমরা। এরপর রশিদ, নবীদে আক্রমণে দিশেহারা দলের মিডল অর্ডার।

ব্যাস, মাত্র ৭২ রানেই ৬ উইকেট নেই বাংলাদেশের। রেকর্ড ব্যবধানে হারটা তখন কেবল সময়ের ব্যাপার। আফগানদের সিরিজ জয়ের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এই দুইজনে মিলে শেষের দিকে জুটি গড়েন। চেষ্টা করেন পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে। এই জুটি সেটা অবশ্য করতে পেরেছে। এর আগে সর্বোচ্চ ২৩৩ রানে পরাজিত হওয়ার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের।

সেটা এড়িয়ে যেতে সহয়তা করেছেন মুশফিক ও মিরাজ। তবে মিরাজের প্রস্থানে সেই জুটিতেও ধরে ভাঙন। তবুও একপ্রান্ত আগলে রেখে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়ে যেতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। ৬৫ করা মুশফিকুর রহিমকে ফেরান রশিদ খান। তাতে ১৪২ রানের জয় পায় আফগানিস্তান।

বোলিং করবার সময় এবাদত হোসেন পায়ের ইনজুরিতে পড়েন। তাই ব্যাট হাতে নামেননি তিনি। এটি বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। এর আগে ২০১৮ সালে ১৩৬ রানে বাংলাদেশ হেরেছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...