ঠান্ডা মাথায় প্রতিপক্ষকে উত্তেজিত করাই স্লেজিং। মনস্তাত্বিক কৌশলকে যেন শিল্পের পর্যায়েই নিয়ে গিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি ও গৌতম গম্ভীর। ২০০৭ সাল থেকে শুরু করে আজ অবধি তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব অব্যহত।
ভারত-পাকিস্তান দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী। এই দুই দলের মধ্যকার ম্যাচ কোনো স্লেজিং ছাড়াই শেষ হবে তা ভাবা অকল্পনীয়। যখনই এই দুই দল মাঠে নামে খেলোয়াড়, কোচ, স্টাফ থেকে শুরু করে স্টেডিয়ামে থাকা দর্শক সবাই স্লেজিংয়ের মেতে ওঠে। তাই এই দুই দলের ঝুলিতে রয়েছে অসংখ্য স্লেজিংয়ের ঘটনা। গম্ভীর আর আফ্রিদির ঘটনাটাও তেমনই এক আলোচনার রসদ যোগায়।
সেটা ২০০৭ সালের নভেম্বরের ঘঠনা। ভারতে পাঁচ ওয়ানডে ও তিন টেস্ট খেলতে যায় পাকিস্তান। উভয় দলই বেশ চাপের মাঝেই ছিল। প্রথম দুই ওয়ানডে শেষে ছিল ১-১ সমতা। তৃতীয় ম্যাচ কানপুরে। আর সেখানেই মেজাজ হারান দুই দলের খেলোয়াড়রা। ম্যাচ হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র।
২০ নাম্বার ওভারের তৃতীয় বলে শহীদ আফ্রিদি আর গৌতম গম্ভীর কথার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। তবে পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করে পরের ডেলিভারিতে। আফ্রিদির বলে ব্যাটের খোঁচায় এক রানের জন্য গম্ভীর আহবান জানান অপর প্রান্তে থাকা ব্যাটারকে।
আর আফ্রিদি লেগ বিফোর উইকেটের আবেদন জানায় আম্পায়ারের কাছে। ক্রিজের মাঝ পথে আটকে যায় গম্ভীর। অপর প্রান্তের দাগ স্পর্শ করে এসেই আফ্রিদির মুখোমুখি হয় গম্ভীর। উভয়ে রীতিমত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সাথে উত্তপ্ত বাক্যের বিনিময় তো রয়েছেই। পরে আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হয়।
অবশ্য ভারত সেই ম্যাচটি ৪৬ রানে জিতে যায়। তবে আফ্রিদি বা গম্ভীর, ছাড় পাননি কেউই। আইসিসিরি আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে গুনতে হয়েছে জরিমানা। আর সেদিন থেকে শুরু হওয়া দু’জনের দ্বন্দ্ব আজ অবধি চলছে।
আফ্রিদি একবার মজা করে বলেছিলেন, গম্ভীরকে পাকিস্তানে এনে চিকিৎসা করা উচিৎ। কথাটা ছিল এমন, ‘আমার মতে গৌতম গম্ভীরের কিছু সমস্যা আছে। আমার হাসপাতালে চেনা যানা আছে। ও পাকিস্তানে আসলে ভাল চিকিৎসা পাবে। আমি ওর জন্য ভিসার ব্যাবস্থা করবো।’
জবাবে গম্ভীর আফ্রিদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুমি খুব মজার মানুষ। তবে, ভারতের মেডিকেল ভিসা তো পাকিস্তানিদের জন্য উন্মুক্ত। এসো, আমি নিজে তোমাকে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাব।’