ওয়ানডে ক্রিকেটে বড্ড বিরক্তি শচীনের!

শুধু হতাশা নয়, এক প্রকার প্রকাশ্যেই ওয়ানডে ফরম্যাটকে ‘বিরক্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন দ্য লিটল মাস্টার। এক গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি একঘেয়েমিতা আসে ইনিংসের ১৫ থেকে ৪০ ওভার পর্যন্ত। শচীনের সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার মুখ খুলেছেন ভারতের আরেক সাবেক ক্রিকেটার অজয় জাদেজা।

ক্যারিয়ারে ৪৬৩ টা ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। অথচ সেই ফরম্যাটটাই কিনা এখন আর সহ্য হয় না শচীন টেন্ডুলকারের! অবাক বিস্ময়ে ভেসে যাওয়ার মতো খবর হলেও, সম্প্রতি ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে নিজের হতাশার কথা জানিয়েছেন ভারতের এ ব্যাটিং গ্রেট।

শুধু হতাশা নয়, এক প্রকার প্রকাশ্যেই ওয়ানডে ফরম্যাটকে ‘বিরক্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন দ্য লিটল মাস্টার। এক গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি একঘেয়েমিতা আসে ইনিংসের ১৫ থেকে ৪০ ওভার পর্যন্ত। শচীনের সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার মুখ খুলেছেন ভারতের আরেক সাবেক ক্রিকেটার অজয় জাদেজা।

সম্প্রতি জনপ্রিয় ক্রিকেট মাধ্যম ক্রিকবাজের এক অনুষ্ঠানে শচীনের কথা টেনে জাদেজা একটু মজা করেই বলেন, ‘শচীন সাব তাঁর মতামত দিয়েছে। এতে কোনো সমস্যা নেই। যেহেতু ১৫ থেকে ৪০ ওভারের খেলা দেখা বিরক্তিকর তাহলে, ঐ সময় খেলা বন্ধ করে দেওয়া দরকার।’

প্রথমে মজা করে বললেও এরপর জাদেজা সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলেন, ‘ওয়ানডে ক্রিকেটের পরিবর্তন হয়নি কে বলেছে? একটা সময় পর্যন্ত ৩০ গজের সার্কেল ছিল না। তখন বাইরে ইচ্ছামতো ফিল্ডার রাখা যেত। এ ছাড়া ৬০ ওভার থেকে ৫০ ওভারের ফরম্যাট হয়েছে। আগে একটি বলেই পুরো ম্যাচ শেষ হতো। এখন দুই ইনিংসের দুটি নতুন বল দিয়ে খেলা হয়। তাছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটের শুরুটা হয়েছিল লাল বল দিয়ে, কিন্তু এখন তো সেটা সাদা বলে হয়। এগুলোই তো ওয়ানডে ক্রিকেটকে দীর্ঘদিন ধরে পরিবর্তিত করে আসছে।’

শচীন অবশ্য ওয়ানডে ক্রিকেটের কাঠামো পরিবর্তনের জন্য একটা উপায়ও বাতলে দিয়েছেন। তাঁর মতে, ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৫ ওভারের ইনিংস চালু করা উচিত। অর্থাৎ টেস্ট ক্রিকেটের মতো ম্যাচটাকে চার ভাগে ভাগ করে দেয়া যেতে পারে। টেস্ট ক্রিকেটে ২০ টি উইকেট তুলতে হয়। এখানে ১০টি উইকেট তুললেই চলবে। যদি কেউ প্রথম ইনিংসে আউট হয়ে যায়, সে আর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে পারবে না। দুটো ইনিংস মিলিয়ে ১০টা উইকেট নিলেই চলবে।

শচীনের এমন প্রস্তাবের প্রত্যুত্তরে জাদেজা বিনয় সুরেই বলেন, ‘শচীন তাঁর ভাবনা তুলে ধরতেই পারে। কিন্তু এ সময়ে এমন ভাবে কে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে চাইবে? সময়ের বিবর্তনে ওয়ানডে ক্রিকেট পরিবর্তিত হয়েছে। আপনি বাইশ গজের নিয়ম পরিবর্তন করতে পারেন না। আর যেভাবে চলছে, তার ধরণ একটা সময় পর এমনিতেও পরিবর্তিত হবে। এ সময়ের ক্রিকেটাররা সেই পরিবর্তনের নজির দেখাচ্ছে।’

শচীন ছাড়াও এর আগে ওয়ানডে ক্রিকেটের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী। তাঁর মতে, ‘ওয়ানডে ক্রিকেটের ওভার ৫০ থেকে নামিয়ে ৪০ এ আনা উচিৎ।’

অবশ্য এমন মতামত যে খুব প্রাধান্য দিয়ে আইসিসি দেখেছে, সেটিও নয়। কারণ ৪ ইনিংসের ওয়ানডে ক্রিকেটের এ প্রস্তাব শচীন বহু বছর আগেই দিয়েছিলেন। কিন্তু আইসিসি থেকে তাতে কোনো সাড়া আসেনি। এমন কি পরীক্ষামূলক ভাবে কোনো চ্যারিটি ম্যাচেও প্রয়োগ করা হয়নি। তাই দিনশেষে শচীনের এমন প্রস্তাব ফলপ্রসূ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...