ইন্টার মিলানের রক্ষণ ভাগের ফরমেশনে যুক্ত আছেন ২৫ বছর বয়সী আলেসান্দ্রো ব্যাস্তনি। ধারণা করা হয়, যুগের থেকেও এগিয়ে আছেন রক্ষণভাগের এই খেলোয়াড়। সিমিয়নে ইনজাগির একাদশে এই অবস্থানে এক রকম বিপ্লবই সাধন করেছেন তিনি।
ইনজাগি ৩-৫-২ ফরম্যাশনে দল সাজান। সেখানে রক্ষণ ভাগে খেলে তিন জন। যারা কিছুটা ফ্রন্ট ফুটেড ডিফেন্ডার। রক্ষণের পাশাপাশি তাদের নিয়মিত আক্রমনেও অংশ নিতে হয়।
সেখানেই বাম পাশের সেন্টার ব্যাক হিসেবে দেখা যায় ব্যাস্তনিকে। যার সামনে কিছুটা ওয়াইডে উইং ব্যাকে খেলেন ডি মারকো। যিনি প্রতিটা বিল্ড আপেই উইং ব্যাক থেকে ফরোয়ার্ড অবস্থানে চলে যান। তখন ইন্টার অর্ধের বাম প্রান্তটা ব্যাস্তনিকেই সামাল দিতে হয়।
এখানে তার একটা সুবিধা আছে। ম্যানচেস্টার সিটির কেন্দ্রীয় রক্ষণের মতোই তিনি দ্রুতগামী। ফলে উপর নিচে ওঠা নামা তার জন্য খুব সমস্যার না।
এবার আবার একটু ইনজাগিতে ফিরি। তিনি আক্রমনকে রক্ষণের মন্ত্র হিসেবে ধারণ করেন। সেই কারণেই মাঝ মাঠের তিনজন কিছুটা এগিয়েই খেলে। যেখানে হেনরিখ মিখিতারিয়ান ও হাকান কাহানগলুর মত তারকা আছে। যারা নিয়মিত অল্টারনেট আক্রমনাত্মক মাঝমাঠ ও ডান-বামের মিডফিল্ড খেলে।
এক্ষেত্রে তারা এগিয়ে গেলে মাঝ মাঠে এক রকম শূন্যস্থান সৃষ্টি হয়। সেখানেও রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডে এগিয়ে যান তিনি। এক কথায় লেফট ব্যাক, সেন্টার ব্যাক ও সেন্ট্রাল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড তিন স্থানের খরাই একত্রে ঘোচান ব্যাস্তনি।
এর প্রমান তার ক্লিন শিটের পরিসংখ্যানই দিয়ে দেয়। চলতি মৌসুমে যা ৩৩ শতাংশ। তার খেলা দেখে স্কাই স্পোর্টসে এক অনুষ্ঠানে বিশ্লেষক নিয়েভ পেত্রুজিয়েলো বলেই বসেন, ‘এও মূহুর্তে ব্যাস্তনি ভ্যান ডাইক বা সালিবা্র মতোই অদম্য।’
ব্যাস্তনি আক্রমণকেও বৈচিত্র্য দিতে পিছ পা হননা। ক্রসিং এবং অ্যাসিস্ট দেয়াতেও তিনি পটু। ইন্টার জার্সিতে ২০৯ ম্যাচে ১৯ এসিস্ট রয়েছে তার। সাথে ৪ গোলও পেয়েছেন তিনি।
আদতেই অগাধ বৈচিত্র্যের ধারক ৬ ফিট তিন ইঞ্চির এই যুবক। যিনি কেবল রক্ষণেই বিপ্লব ঘটাননি। একত্রে তিন পজিশনে খেলার দক্ষতা তার। যা ফুটবল পটে যুগের চেয়ে এগুনো বিরলতম নিদর্শন।