ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের রাজা

সেরা অলরাউন্ডার কে? - ক্রিকেটে এই প্রশ্নের জবাবে অনেক তর্ক বিতর্ক আছে। আসলেই কাগজে কলমে এই প্রশ্নের জবাবে কোনো একটি নাম আনাটা মুশকিল। আর এখন ক্রিকেটে তিনটা ফরম্যাট চলে আসায় স্রেফ একজনকে রাজার আসনে তোলাটা রীতিমত বিতর্কিত একটা কাজই হবে।

সেরা অলরাউন্ডার কে? – ক্রিকেটে এই প্রশ্নের জবাবে অনেক তর্ক বিতর্ক আছে। আসলেই কাগজে কলমে এই প্রশ্নের জবাবে কোনো একটি নাম আনাটা মুশকিল। আর এখন ক্রিকেটে তিনটা ফরম্যাট চলে আসায় স্রেফ একজনকে রাজার আসনে তোলাটা রীতিমত বিতর্কিত একটা কাজই হবে।

তবে, এর পরও পরিসংখ্যান বলে তো একটা ব্যাপার আছে। আর সেখানে আধুনিক ওয়ানডে ক্রিকেটে অলরাউন্ডারদের এলিট ক্লাবটা ঠেকেছে তিনজনে এসে। এখানে মাপকাঠি হল কমপক্ষে ৩০০ উইকেট আর ছয় হাজার রান। আর সেই তালিকায় যে তিনজন আছেন কাকতালীয় ভাবে সবাই হলেন উপমহাদেশীয়।

  • সনাথ জয়াসুরিয়া (শ্রীলঙ্কা)

বাঁ-হাতি স্পিনার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা সনাথ জয়াসুরিয়া পরবর্তীতে পিঞ্চ হিটার বনে যান। আর ক্যারিয়ার শেষ করেন আধুনিক ক্রিকেটেরই অন্যতম সেরা ওপেনার হিসেবে। একই সাথে বোলিংয়েও ছিলেন বেশ কার্যকর।

ওয়ানডেতে খুনে ব্যাটিংয়ের শেষ কথা বলা যায় তাঁকে। সাবেক এই লঙ্কান অধিনায়ক ১৩৪৩০ রান করেছেন। এছাড়া ৪৪৫ টি ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৩২৩ উইকেট। জয়াসুরিয়ার উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা ছিল প্রশংসিত। জরুরী সময়ে ব্রেক থ্রু দিতে পারতেন তিনি। বেশ স্মার্ট অলরাউন্ডার বলা চলে তাঁকে।

  • শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান)

শহীদ আফ্রিদির ক্যারিয়ারটাও শুরু হয় সনাথ জয়াসুরিয়ার মতই। লেগ স্পিনার হিসেবে দলে এসেছিলেন তিনি। তবে, ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে নিজের ক্যারিয়ারের গতিপথ পাল্টে ফেলেন তিনি। লম্বা সময় দলের ওপেনার ছিলেন তিনি।

পাশাপাশি বোলিংটাও চালিয়ে যান। তিনি নিজের দিনে অত্যন্ত কার্যকর এক অলরাউন্ডার ছিলেন। ক্রিকেট বলটার জন্মই হয়েছে পেটানোর জন্য – জয়াসুরিয়ার মত তিনিও এই ঘরানায় বিশ্বাস রাখেন। ৮০৬৪ রান ও ৩৯৫ উইকেট আছে তাঁর ওয়ানডেতে। খেলেছেন ৩৯৮ টি ম্যাচ।

  • সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)

এখানে সর্বশেষ সংযোজন হলেন খোদ সাকিব আল হাসান। আর ক্লাবটিতে যোগ দেওয়া মাত্রই তিনি উঠে গিয়েছেন সবার চূঁড়ায়। কারণ, তিনিই যে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে গড়েছেন এই কীর্তি। মাত্র ২২৭ টি ম্যাচেই সাকিব এই কীর্তি গড়ে ফেলেন।

ওয়ানডেতে ৩০০ উইকেটের সাথে সাথে প্রায় সাত হাজারের মত রান করেছেন সাকিব। এখান থেকে হয়তো সাকিবের পক্ষে তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েই ক্যারিয়ার শেষ করা সম্ভব। এমন কি নিয়মিত খেললে ও পারফর্ম করলে আফ্রিদির উইকেট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারেন। আর ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে জয়াসুরিয়াকে না হলেও আফ্রিদিকে ধরে ফেলা সম্ভব।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...