এমন প্রত্যাবর্তন আমির নিশ্চয়ই ভুলে যেতে চাইবেন

বেলা যে ফুরিয়ে গেছে অনেক আগেই। বৃষ্টির জল ভাসিয়ে নিয়ে গেছে পাকিস্তানের বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন।

বেলা যে ফুরিয়ে গেছে অনেক আগেই। বৃষ্টির জল ভাসিয়ে নিয়ে গেছে পাকিস্তানের বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন। সেই দায় অবশ্য পাকিস্তানের খেলোয়াড়দেরও রয়েছে। তাইতো নিয়ম রক্ষার শেষ ম্যাচে দায় মোচনের চেষ্টা করল পাকিস্তানের বোলিং ইউনিট। বাদ যাননি মোহাম্মদ আমির।

স্রেফ বিশ্বকাপ খেলবেন বলেই অবসর ভেঙে ফিরেছিলেন আমির। বিশ্বকাপ তিনি খেললেন বটে। তবে এমন অকার্যর পারফর্মেন্স সম্ভবত আমির তার ক্যারিয়ারেই করেছেন খুব সামান্যই। প্রথম দুই ম্যাচে ৩ উইকেট বাগিয়েছিলেন। তবে শেষ অবধি তা দলের কাজে আসেনি। হারতে হয়েছিল সেই দুই ম্যাচ।

সেখানেই মূলত ছিটকে যাওয়ার শুরু। টুর্নামেন্টে টিকে থাকার ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে ২ উইকেট নিজের করে নিয়েছিলেন। সেই ম্যাচটা অবশ্য জিতেছিল পাকিস্তান। তবে তাতে অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি। শেষবেলায় তাই একেবারেই শূন্য হাতে যেতে চাইলেন না আমির। শাহীন শাহ আফ্রিদি যেই ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটা করেছিলেন তাতে যুক্ত হলেন আমিরও।

পাওয়ার প্লে এর ৬ ওভারের মধ্যেই আয়ারল্যান্ডের ৫ ব্যাটার ফিরেছেন সাজঘরে। যার দুইটি উইকেট নিজের পকেটে পুরেছেন আমির। প্রথম উইকেট হিসেবে আইরিশ অধিনায়ককে আউট করেন আমির। খানিকটা বাউন্সি বলে পরাস্ত হন পল স্টার্লিং। উইকেটে পেছনে ক্যাচ লুফে নিতে সমস্যা হয়নি মোহাম্মদ রিজওয়ানের।

এরপরে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ লুফে নেন আমির। জর্জ ডকরেল সহজ এক শিকারে পরিণত হন। পাওয়ার প্লে-এর প্রথম স্পেলে তিন ওভার করে ফেলেন আমির। ১১ রান দেন তিনি। সেই দুই উইকেটই হয়েছিল তার সঙ্গী। তারপর ইনিংসের শেষদিকে এক ওভার করেন আমির। তাতে অবশ্য তার  বোলিং ফিগারে বিশেষ কোন পরিবর্তন আসেনি।

কেননা নিজের করা চতুর্থ ওভারে কোন রান দেননি আমির। ৪ ওভার শেষে ১১ রানের বিনিময়ে শেষ হয় আমিরের বিশ্বকাপ যাত্রা। বল হাতে ৭ উইকেট পাওয়া আমিরের বিশ্বকাপটা একেবারেই খারাপ কেটেছে তা বলবার উপায় নেই। যদিও দলগতভাবে এমন নির্বিষ এক বিশ্বকাপ অভিযান হয়ত প্রত্যেক খেলোয়াড়ই ভুলে যেতে চাইবেন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...