মাঠে ক্যামেরার লেন্স বিনা কারণেও সুপারস্টারকে খুঁজে নেয়; ড্রেসিংরুমেও তাঁর অঘোষিত নেতৃত্ব থাকে। আর সেই সুপারস্টারের নাম যদি হয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো তাহলে তো কথাই নেই। সেজন্য অনেকেরই মনে হয় তাঁকে কোচিং করানো বুঝি দুঃসাধ্য; তিনি বোধহয় কোচকে পাত্তা না দিয়েই চলেন।
তবে এমন ধারণা মোটেই সত্য নয়, বরং অন্য অনেকের চেয়ে রোনালদোকে নিয়ন্ত্রণ করা কোচের জন্য সহজ। শুধু কথার কথা নয় এটা, ইতিহাসের অন্যতম সেরা কোচ কার্লো আনচেলত্তির সহজ স্বীকারোক্তি বটে। ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত দুই বছরের অভিজ্ঞতা থেকেই এই রায় দিয়েছেন তিনি।
পর্তুগিজ সেনসেশনের ইগো বেশি, স্বার্থপর কত কিছুই তো বলা হয়। কিন্তু আসল সত্যি জানে কয়জন; তাঁর চেয়ে পেশাদারিত্ব আছে কয়জন ক্রীড়াবিদের। তাছাড়া কেউ যদি ধারাবাহিক পারফরম করে তাহলে কোচ কেন বাড়তি ঝামেলায় পড়বেন তাঁকে নিয়ে।
ইতালিয়ান এই কিংবদন্তি সেটাই জানিয়েছেন, তিনি বলেন, ‘ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে কোচিং করানো? এটা তো বেশ সহজ। যখন আপনার কাছে এমন কেউ থাকবে যে প্রতি ম্যাচেই গোল করে তখন সবকিছুই সহজ হয়ে যায়।’ – পরিসংখ্যানও বলছে সে কথা, তাঁর অধীনে সিআরসেভেনের গোল করার হার বেড়ে গিয়েছিল অনেক।
সবমিলিয়ে আনচেলত্তিকে ডাগআউটে রেখে ১০১ ম্যাচ খেলেছেন তিনি, এসময় গোল করেছেন ১১২টি। অর্থাৎ প্রতি ম্যাচে গড়ে একটির বেশি গোল করেছেন। এছাড়া ২০১৩ ও ২০১৪ সালে টানা দুই ব্যালন ডি’অর যোগ হয়েছিল তাঁর অর্জনের ঝুলিতে।
যেই কোচের সঙ্গে এত সুসম্পর্ক তাঁর সঙ্গে তো আরো একবার কাজ করতেই চাইবেন রোনালদো। দু’জন দুই মেরুতে থাকা সত্ত্বেও নিজের ইচ্ছের কথা অকপটে জানিয়েছেন তিনি; বলেছেন সুযোগ পেলে আবারো বিগ টেডি বিয়ারের শিষ্য হতে চান। বলা বাহুল, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগকে চোখের ইশারায় নাচানো বুড়োটাকেই বিগ টেডি বিয়ার ডাকেন পর্তুগিজ যুবরাজ।