আবুধাবিতে শেষ হওয়া টি-টেন লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নর্দার্ন ওয়ারিয়র্স। ব্যাট-বলের ধুন্ধুমার লড়াইয়ে আবু ধাবির বালুর দেশে খেলেছেন নামকরা প্রসিদ্ধ সব খেলোয়াড়েরা। ‘তোমার হল সারা, আমার হল শুরু’, টি-টেন শেষ হলেও এই মারকাট লড়াইয়ে মানা হয় যাকে গুরু, সেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এর নিলাম শুরু হবে সামনেই।
আরো পড়ুন
ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সবচাইতে বড় এই আসর ঘিরে এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে সব জল্পনা-কল্পনা। টি-টেন ক্রিকেটেও নজর কেড়েছেন এমন কিছু ক্রিকেটার যারা কিনা এবার আইপিএলে ডাক পেতে পারেন যেকোন দলে। তা কারা তাঁরা?
- ফ্যাবিয়ান অ্যালেন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
২৫ বছর বয়সী অলরাউন্ডার ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে ছেড়ে দিয়েছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। অবশ্য স্কোয়াডে থাকলেও আইপিএল অভিষেক হয়নি অ্যালেনের। তবে আবু ধাবীতে নর্দার্ন ওয়ারিয়র্সকে চ্যাম্পিয়ন হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
৯ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে হয়েছেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহক। টি-টোয়েন্টিতেও তিনি বেশ দুর্দান্তই বলা যায়। ২৬ টি-টোয়েন্টি খেলে তাঁর স্ট্রাইক রেট এখনও ১৫৯.২১! এই নিলামে তাই অ্যালেনের দিকে বাড়তি একটা চোখ রাখতেই পারে দলের মালিকেরা।
- জেমি ওভার্টন (ইংল্যান্ড)
২৬ বছর বয়সী এই ইংলিশ পেসার বল হাতে দারুণ একটা টুর্নামেন্ট কাটিয়েছেন টি-টেন লিগে। ৯ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক তো হয়েছেনই, সাথে একটা ম্যাচে আছে চার উইকেট নেওয়ার মাইলফলকও। লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতে নেমেও দারুণ ব্যাট চালাতে জানেন তিনি।
মোটামুটি আইপিএলে দলগুলো ব্যাট করতে জানা যে ধরণের পেসার চায় জেমি ঠিক সেরকম। সাথে কাউন্টি খেলার অভিজ্ঞতা তো অতিরিক্ত হিসেবে আছেই!
- লেন্ডল সিমন্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
টি-টেন লিগে আট ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমে সিমন্স করেছেন ২১১ রান। ১০ ওভারের ম্যাচে ব্যাটিং গড় যদিও ধর্তব্য নয়, তবুও পরিসংখ্যানের খাতিরে বললে সেটা ৭০.৩৩ , সাথে ১৫১.৭৯ এর স্ট্রাইক রেটের কথাও ভুলে গেলে চলবেনা! তাঁর এই অতিমানবীয় পারফরম্যান্সই নর্দার্ন ওয়ারিয়র্সকে ট্রফি জিততে সাহায্য করেছে।
টি-টেনের আগে হওয়া সিপিএলেও কিন্তু সিমন্স ছিলেন দুর্দান্ত, ১১ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ৩৫৬ রান। এই দুর্দান্ত ফর্মের সাথে আর যে কারণটা সিমন্সকে দলে নেওয়াতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে সেটা হল সিমন্সের আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা। বাকিটা দেখা যাক!
- এভিন লুইস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
২৯ বছর বয়সী এই ক্যারিবীয় হার্ড হিটার টি-টেন লিগে খেলেছেন দিল্লী বুলসের হয়ে। তাঁর এক হাফ সেঞ্চুরিতে ৮ ইনিংসে ২১৬ রান করা সাক্ষ্য দেয় ব্যাট হাতে মরুর দেশে কতটা দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। সাথে এর আগে হওয়া সিপিএলের পারফরম্যান্সটাও যদি ধর্তব্যে আনি, তাহলে ১০ ইনিংসে করা ২৩৫ রানটাও তো ফেলনা নয়।
এভিন লুইস অবশ্য এর আগে আইপিএল খেলেননি তাও নয়। আইপিএলের ২০১৮ এর আসরে তো রীতিমত তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ছিলেন। তবে ২০২০ এর নিলামে তিনি থেকে গেছেন অবিক্রিত। কিন্তু এবার তিনি যে ফর্মে আছেন, খুব সম্ভবত আবারও আইপিএলে দেখা যাচ্ছে এভিন লুইসকে!ল;
- পল স্টার্লিং (আয়ারল্যান্ড)
পল স্টার্লিং এর ফর্মকে দুর্দান্ত বললেও কম বলা হয়, ভয়ংকর বললেও একটুও বাড়িয়ে বলা হয়না। আবু ধাবীর হয়ে মাঠে নেমে তিনি এই টুর্নামেন্টেই করেছেন একটা হাফ সেঞ্চুরি। সাথে আফগানিস্তানের সাথী ওয়ানডে সিরিজেও সেঞ্চুরির বন্যা ভাসিয়েছেন তিনি।
আয়ারল্যান্ডের কারো আইপিএলে দল পেয়ে যাওয়াটা অবশ্য বেশ বিচিত্র একটা ব্যাপার , কিন্তু নামটা পল স্টার্লিং বলেই এবার একটা সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে!