আর্জেন্টিনা বনাম ভেনিজুয়েলা ম্যাচের ফলাফল নয়, বরং লিওনেল মেসি আর্জেন্টাইন দলে ফিরেছেন এটাই জরুরি খবর। কোপা আমেরিকার ফাইনালে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার পর এদিনই প্রথম দেশের হয়ে খেলতে নেমেছেন তিনি। এবং খুবই স্বাভাবিকভাবে গোলেও অবদান রয়েছে তাঁর।
যদিও সরকারি নয়, মূলত ফ্রি কিক থেকে মেসির নেয়া ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছিলেন ভেনিজুয়েলার গোলরক্ষক রাফায়েল রোমো। বল দূরে পাঠানোর পরিবর্তে তিনি মারেন নিকোলাস ওতামেন্ডির গায়ে আর তাঁর গায়ে লেগে বল জড়ায় জালে – মেসির পরোক্ষ অ্যাসিস্টে দলকে এগিয়ে দেন ওতামেন্ডি।
এদিন অবশ্য নব্বই মিনিট পুরোটাই খেলেছেন ফুটবল জাদুকর। তবে নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন সেটা বলা যাবে না, তাঁর খেলায় বয়সের ছাপ ফুটে উঠেছিল – হয়তো সাম্প্রতিক ইনজুরির কারণে এমনটা ঘটেছে কিংবা হয়তো সত্যি সত্যিই বয়সের থাবায় ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
মাত্র ৪৪টি পাস খেলেছেন মেসি, এর মধ্যে সফল পাস কেবল ৩২টি। অর্থাৎ সফলতার হার মোটের ওপর ৭০ ভাগ। আবার গোলের চান্স কেবল একবার তৈরি করতে পেরেছেন তিনি, যা তাঁর সঙ্গে আসলেই মানানসই নয়। অধিনায়কের এমন দিনে জিততে পারেনি বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরাও। ভেনিজুয়েলার মাঠ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁদের।
প্রবল বৃষ্টির কারণে ঠিক সময়ে ম্যাচই শুরু হয়নি, তবে ভেজা মাঠ স্বাগতিকদের দিয়েছে বাড়তি সুবিধা৷ গোল হজম করলেও চেনা কন্ডিশনে আর্জেন্টিনাকে চেপে ধরতে সক্ষম হয় তাঁরা – বল পজেশনে ডি পলরা এগিয়ে থাকলেও কাউন্টার এটাকে বারবার জিরোনিমো রুল্লির পরীক্ষা নেয় দলটি। সবশেষ ৬১ মিনিটের মাথায় আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার জোসে রনডনের হেডারে সমতা ফিরে ম্যাচে।
শেষপর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগিতেই শেষ হয় দুই দলের ম্যাচ; এর মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপের আরো কাছাকাছি পৌঁছে গেলো ভেনিজুয়েলা। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র তাঁরাই এখন পর্যন্ত বিশ্ব মঞ্চে পৌঁছুতে পারেনি। এবার কি পারবে? আপাতত অপেক্ষা করতে হচ্ছে, সময়ই উত্তর বলে দিবে।