সেয়ানে সেয়ানে সালসা

এটা নিশ্চয় আমরা আশা করছি না যে আমাদের মধ্যে কেউই দিদিয়ের দেশ্যম বা লিওনেল স্ক্যালোনির মস্তিস্ক পড়তে পারি। আর আমি তো আরোই পারি না। তবে এই বিশ্বকাপ এবং তার আগে দেখে যে কটা জিনিস বলতে পারি সেগুলো একটু ধরার চেষ্টা করি।

খেলা রক্ষণাত্মক হবে। কেউই আগে প্রাণ দান করিবেন না। এই দুই কোচ ফাইনাল অবধি এসেছেন কোর স্ট্রাকচারে ভর করে। চিন্তা করে দেখুন, উভয় দলই সেমি ফাইনালে এমন দুটো দলকে একাধিক গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে, যারা অন্য দলগুলির নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিল। এবারে সেয়ানে সেয়ানে সালসা।

দেশ্যমেরটা বলা যায়, তিনি টাইট লো ডিফেন্স বজায় রাখবেন, থিওর দিকটা বাঁচাবার জন্য র‍্যাবিয়টকে বিশেষ নির্দেশ দেবেন এবং হতে পারে উপমেকানোর জায়গায় কানাতেকেই খেলালেন।

কিলিয়ানকে কাল নিচ থেকে দেখবেন, মেসির পায়ে বল দিয়ে র‍্যাবিয়ঁ তাঁর শরীরে ঢুকে বল কাড়ার চেষ্টা করবেন এবং তারপর দ্রুত টার্নওভার। অর্থাৎ কিলিয়ান আর থিও একসঙ্গে উঠবেন ও নামবেন।

গ্রিজমান ফ্লোটার হিসাবে থাকবেন, হয়তো এঞ্জোকে দায়িত্ব দেওয়া হবে গ্রিজমানকে ধরার। গ্রিজমান আটকে গেলে কিন্তু ফ্রান্স আটকে গেল। তবে এখানেই র‍্যাবিয়ঁর দায়িত্ব। দি পল যেমন মেসির শ্যাডো, র‍্যাবিয়ট তেমনই গ্রিজমানের ছায়া হিসাবে কাজ করবেন।

আর্জেন্টিনা শুরুতে তিন ব্যাকে শুরু করতে পারে। আবার বলছি স্ক্যালোনিকে পড়ার চেষ্টার ধৃষ্টতায় আমার তিন মাসের জেল এবং সাতদিনের ফাঁসি হতে পারে। কিন্তু রোমেরোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। জিরুর উচ্চতার সঙ্গে পাল্লা দেবে কে না হলে?

ম্যাক অ্যালিস্টার, চৌমেনিকে পিন করার জন্য খুব ভাইটাল। রদ্রিগো ডি পল যেমন থিওকে আটকাবার জন্য। মেসিকে জোনাল মার্ক করা হবে, আশা করছি। সাপ্লাই লাইনটা কাটার চেষ্টা হবে, আলভারেজকে আনলিশ করতে দেবার রাস্তা বন্ধ করতে চাইবেন দেশ্যম।

কিলিয়ান এমবাপ্পে , দশ বারের মধ্যে চারবার অন্তত: মলিনাকে বিট করবেন। কিন্তু রোমেরো ডানদিকে থাকলে ডাবল কভারিং সুবিধা হবে। এখানেই গ্রিজমান গুরুত্বপূর্ণ। গ্রিজমান কতটা জিরুকে খেলাতে পারেন বা ডেম্বেলে আর কিলিয়ানকে উইং ব্যাকের পিছনে সঠিক স্পেস দিতে পারেন তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।

নিচ থেকে খেলা তৈরির ক্ষেত্রে ভারান খুব জরুরি। কারণ এই বিষয়ে লরিস একেবারেই কার্যকরী নন। এমিলিয়ানো বা লরিস উভয়েই ভালো শট স্টপার। কিন্তু খেলা তৈরিতে ততটা দক্ষ নন।

এনজো তেমনই আর্জেন্টিনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেলা নিচ থেকে তৈরি এবং আক্রমণে লোক বাড়াবার জন্য এঞ্জোর ভূমিকা ভাইটাল হতে যাচ্ছে। মেসি বা কিলিয়ানকে জায়গা কেউই দেবে না। কিন্তু নজর রাখুন হুলিয়ান আলভারেজ বা অলিভিয়ের জিরুডের উপর।

আচ্ছা, গোল হওয়া অবধি ঝুল খেলা হবে, কিন্তু তারপর গতিপুলিশ হিমসিম খেতে পারে। এখানেই দুই গোলকিপারের শট স্টপিং এবিলিটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে।

আরেকটা ব্যাপার। গোল না হলে কিন্তু জিরু উঠে থুরাম নামবেন। লিসান্দ্রো তো ডানদিকে। ওটামেন্ডি ধরতে পারবেন তো কিলিয়ানকে তখন?

ও হ্যাঁ, ভালোরকম সম্ভাবনা আছে উপরে যা সব বললাম সব বোগাস হয়ে গেল। তখন গাল দেবেন না, আমার তোতাপাখিটা ব্রাজিল হারার পর থেকেই শিকল খুলে উড়ে গেছে। তাই এলএম১০ বা কেএম১০ কে পাবে কাল খোদায় মালুম। তবে কিলিয়ান পেলে, পিএসজিতে বাকিদের টেকা দায় হবে, অতএব!

মেসি পেলে অবশ্য ফেসবুকে ঈশ্বর বন্দনায় টেকা দায় হবে। কাল সিদ্ধান্ত নেব পিএসজি বড় না ফেসবুক, কেমন! তব তককে লিয়ে নাইভস আউট। ঘুমিয়ে পড়ুন, যা কাটার কাল কাটবেন, আজ আর জ্বালাবেন না, জ্বলবেন না।

ভামোস আর অ্যালেজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link