ফাইনালে নেই জিরুড-ভারানে!

আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামের অন্তিম ক্ষণের অপেক্ষায় এখন গোটা বিশ্ব। টানা দুই বারের দৌরাত্ম্য নাকি ৩৬ বছরের দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে আবারো বিশ্বকাপ জয়- দুই দল, দুটি সম্ভাব্য ফলাফল। দিন শেষে যেটিই হবে, সেটিই ঠাই নেবে ইতিহাসের পাতায়। তবে সেই ইতিহাসের দ্বার উন্মোচনের আগে এরই মধ্যে ফাইনালের সম্ভাব্য একাদশ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা।

আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামের অন্তিম ক্ষণের অপেক্ষায় এখন গোটা বিশ্ব। টানা দুই বারের দৌরাত্ম্য নাকি ৩৬ বছরের দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে আবারো বিশ্বকাপ জয়- দুই দল, দুটি সম্ভাব্য ফলাফল। দিনশেষে যেটিই হবে সেটিই ঠাই নেবে ইতিহাসের পাতায়। তবে সেই ইতিহাসের দ্বার উন্মোচনের আগে এরই মধ্যে ফাইনালের সম্ভাব্য একাদশ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা।

ফাইনাল শুরু হওয়ার ঘন্টা খানেক আগে জানা গেছে, এ বিশ্বকাপ মিশনে ফ্রান্সের অন্যতম দুই সেরা খেলোয়াড় অলিভার জিরুড আর রাফায়েল ভারানেকে নাকি ম্যাচের শুরু থেকে খেলানো হবে না! মূলত ফাইনাল ম্যাচের আগে ফ্রান্স শিবিরে এক ধরনের ভাইরাস জ্বর ছড়িয়ে পড়েছিল। এ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন জিরুড আর ভারানেও। আর সে কারণেই ফ্রেঞ্চ কোচ দিদিয়ের দেশম এ দুই নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়কে শুরুর একাদশে খেলাতে চান না। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো সে খবরই প্রকাশ করেছে।

তবে রাফায়েল ভারানে আর অলিভার জিরুড, দুজনই এ ভাইরাস থেকে পুরোপুরি রিকোভারি করেছেন, এমনটাই প্রথম দিকে শোনা যাচ্ছিল। তাই হঠাৎই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দুজন ম্যাচ খেলার জন্য ফিট থাকা স্বত্ত্বেও কেন তাদের খেলানো হবে না? তার উপর এ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন অলিভার জিরুড।

৪ গোল করে আছেন গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়েও। আর ফ্রান্সের ডিফেন্সে অন্যতম ভরসার নাম ভারানে। সেই ধারাবাহিকতায় এ বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে আছেন এ ডিফেন্ডার। এত কিছুর পরও কেন  দেশম তাদের খেলাতে চাচ্ছেন না? মূলত অনেকের ধারণা মতে, এটা দেশমের একটি ট্যাক্টিকাল সিদ্ধান্ত। তিনি স্ক্যালোনির সাথে একটি মাইন্ড গেম খেলছেন এমনটাই ধারণা করছে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।

রাফায়েল ভারানে যে শুরুর একাদশে থাকবেন না, সেই সন্দেহ আরও তীব্র হয়েছে শেষ অনুশীলনে। সেখানে দায়োত উপামেকানোকে আলাদা করে অনুশীলনে দেখা যায়। গুঞ্জন সত্যি হলে, ভারানের জায়গায় তিনিই খেলবেন। আর অলিভার জিরুডের জায়গায় খেলতে পারেন মার্কাস থুরাম।

এখন দেখার বিষয়, দেশমের এই টোটকা ঠিক কতটা কাজে লাগে। কারণ এমন ট্যাকটিসে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দেওয়ার বিপরীতে ম্যাচ হারার শঙ্কাও থাকে। তবে এ ম্যাচ জিতলে অনন্য এক রেকর্ডবুকে ঢুকে যাবেন দেশমও। ১৯৩৮ বিশ্বকাপের পর তিনিই প্রথম কোচ হবেন যিনি ব্যাক টু ব্যাট বিশ্বকাপ শিরোপার কীর্তি গড়বেন।

একই ভাবে ইতালি, ব্রাজিলের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে ফ্রান্সও টানা দুই বিশ্বকাপ শিরোপার কীর্তি গড়বে। আর পেলের পর সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে দুটি বিশ্বকাপ শিরোপার কীর্তি গড়বেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...