বাংলাদেশে খেলে গেছেন আসানোরা

ঠিক ৮ বছর আগের কথা। ২০১৪ সাল। জাপান অনূর্ধ্ব- ২১ দল খেলতে এসেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে জাপান অনুর্ধ্ব-২১ দলের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেদিন জোড়া গোল করেছিলেন আসানো তাকুমা, সেই তাকুমাই কাতার বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে গোল করে জাপানের ইতিহাস রচনা করলেন।

৮ বছর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলে যাওয়া সেই দলের ৪ জনই জাপানের হয়ে জার্মানির বিপক্ষে খেলেছেন।

সূর্যোদয়ের দেশে সূর্য উদয়ের নায়ক তাকুমা। জাপানকে বিশ্বকাপে এক অবিস্মরণীয় দিন এনে দিলেন তিনি। প্রীতি ফুটবল ম্যাচে জাপান অনুর্ধ্ব- ২৩ দলের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলতে নামে বাংলাদেশ জাতীয় দল। ৩-০ গোলে হারে বাংলাদেশ।

জাপানের জে লিগে খেলা আসানো তাকুমার ঝড়ে যেন উড়ে যায় বাংলাদেশের রক্ষণ প্রাচীর। সেই ম্যাচে ২ গোল করে জাপানের জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন আসানো। তবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

তখনকার ব্লু সামুরাই ভবিষ্যত তারকা জানিয়েছিলেন গোলের জন্য তার ক্ষুধার কথা। যুবদলে পারফর্ম করে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করার তীব্র ইচ্ছার কথাও শুনিয়েছিলেন ঢাকার মাটিতে খেলে যাবার পর।

তখম আসন্ন ছিল ২০১৬ রিও অলিম্পিক। সেই অলিম্পিক দলে জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে। সেই যুবদলের আসানো আজ জাপানের রূপকথার নায়ক। জার্মান দূর্গে অন্ধকার নামিয়ে জাপানে সূর্যোদয়ের নেপথ্য কারিগর।

তাকুমা তখন খেলতেন জে লিগে। সেখান থেকে তিনি তিন মৌসুম ছিলেন আর্সেনালে। যদিও, ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। সেখান থেকে যান জার্মানিতে। চারটা ভিন্ন ভিন্ন ক্লাবে খেলেন। ম্যাচ না পাওয়ার আক্ষেপ ঘুঁচে যায়। এখন বুন্দেসলিগার দল ভিএফএল বুশামে খেলেন এই ফরোয়ার্ড। জার্মানিতে খেলেই জার্মান বধের কৌশলটা রপ্ত করেছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link