নিষিদ্ধ আসিফ আফ্রিদি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক না হলেও গত বছর ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে ডাকা হয়েছিলো আসিফকে। ৩৬ বছর বয়সী আসিফ পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি কাপে করা অপরাধে সাময়িক নিষিদ্ধ ছিলেন এতদিন। তবে এবার দুই বছরের জন্য তাকে সবধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

ফিক্সিং জনিত নিষেধাজ্ঞা পাকিস্তানের ক্রিকেটে নতুন কিছু নয়। এবার সেই নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে এলো বাঁহাতি স্পিনার আসিফ আফ্রিদির ওপর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক না হলেও গত বছর ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে ডাকা হয়েছিলো আসিফকে।

৩৬ বছর বয়সী আসিফ পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি কাপে করা অপরাধে সাময়িক নিষিদ্ধ ছিলেন এতদিন। তবে এবার দুই বছরের জন্য তাকে সবধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

আসিফ আফ্রিদির বিরুদ্ধে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের একাধিক ধারা অমান্য করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। প্রথম অপরাধের ধরণের ব্যাপারে বিস্তারিত জানা না গেলেও পিসিবি জানিয়েছে, তাদের আইনের ২.৪.১০ ধারা না মানায় এই শাস্তি দেয়া হয়েছে আসিফকে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন আফ্রিদি। তবে তদন্ত শেষে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই বছরের জন্য তাকে নিষিদ্ধ করলো পিসিবি।

ঘটনাটি ২০২২ পাকিস্তান কাপের। সেবার রানারআপ দল পাখতুনখাওয়া দলের হয়ে খেলেছিলেন আসিফ। তখনই আসিফ এই অপরাধ করেছিলেন বলে ধরে নেয়া হচ্ছে। অপরাধের ব্যাপারে খোলাসা করা না হলেও দ্বিতীয় অপরাধে আসিফ পিসিবির দূর্নীতি বিরোধী ২.৪.৪ ধারা ভেঙেছেন বলে জানানো হয়। যেখানে মূলত দূর্নীতি বিষয়ক কোনো কর্মকান্ড জেনেও পিসিবিকে না জানানোকে এই ধারায় অপরাধ বলে গণ্য করা হয়েছে।

এমন অপরাধে আজীবন নিষিদ্ধ পর্যন্ত করতে পারে পিসিবি। কিন্তু আসিফ আফ্রিদির ক্ষেত্রে পিসিবি আমলে নিয়েছে আসিফের অনুশোচনার মাত্রা ও অতীত রেকর্ড।

পিসিবির সভাপতি নাজাম শেঠি বলেন, ‘অত্যন্ত কষ্টের সাথে আমাদের একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করতে হচ্ছে। কিন্তু এই ধরণের অপরাধের ক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি। খেলা পরিচালনার দায়িত্ব থাকায় আমাদের এই ধরণের অপরাধ খুব ভালোভাবে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে এবং বাকি ক্রিকেটারদের বার্তা দিতে হবে।’

নাজাম শেঠি আরো বলেন, ‘এটি খুবই খারাপ একটি দিক যে এধরণের দুর্নীতি খেলার প্রতি একটি হুমকি। দুর্নীতির সাথে জড়িত লোকেরা বিভিন্ন ভাবে ক্রিকেটারদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে। সে কারণের পিসিবি খুবই গুরুত্বসহকারে এই ধরণের অপরাধ তদন্ত করে। আমাদের এত এত চেষ্টার পরেও যদি কোনো খেলোয়াড় ফাঁদে পা দেয় তাহলে তাঁর জন্য আমাদের কোনো সমবেদনা নেই।’

দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ আফ্রিদির নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। গত বছরের পাকিস্তান কাপ থেকেই সাময়িক নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি।সেখান থেকেই তাঁর নিষেধাজ্ঞার সময় বিবেচনা করা হবে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...