সহজ জয়ে সেরা দুইয়ে সিলেট

বিদায় ঘণ্টা বেজেছিল খানিকটা আগেভাগেই। তবে একটা দলের শেষটা সুন্দর করার অভিপ্রায় তো থাকা প্রয়োজন। খুলনা দলে যেন সে সবের কোনো চিহ্নই নেই।  শরীরী ভাষায় খেলোয়াড়দের মধ্যে সামান্য লড়াইয়ের চিত্রটুকু নেই। ব্যাটিং লাইন আপে কোনো রানক্ষুধা নেই।

‘ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি’ – এবারের বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের অবস্থাটা ঠিক এমন। টানা হারের বৃত্তে ডুবে গিয়ে সামান্য আত্মবিশ্বাসটাও যেন অবশিষ্ট নেই দলটার মধ্যে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, রাউন্ড রবিন লিগ শেষ করাটাই যেন এ দলের জন্য বড় এক চাপের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিদায় ঘণ্টা বেজেছিল খানিকটা আগেভাগেই। তবে একটা দলের শেষটা সুন্দর করার অভিপ্রায় তো থাকা প্রয়োজন। খুলনা দলে যেন সে সবের কোনো চিহ্নই নেই।  শরীরী ভাষায় খেলোয়াড়দের মধ্যে সামান্য লড়াইয়ের চিত্রটুকু নেই। ব্যাটিং লাইন আপে কোনো রানক্ষুধা নেই। বোলিংয়ে আগ্রাসনের সিঁকিভাগও নেই। এতসব ‘নেই’ কে সঙ্গী করে আরো এক ম্যাচ পরাজয়ের মুখ দেখল খুলনা টাইগার্স। নিয়ম রক্ষার ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে তারা হেরেছে ৬ উইকেটে।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়  খুলনা টাইগার্স। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত মুহূর্তের মধ্যে ভুল প্রমাণিত হয় ব্যাটিং ব্যর্থতায়। ইনিংসের শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে খুলনা। রান পাননি কোনো টপ অর্ডার ব্যাটার।

এর মধ্যেও যা একটু রান করেছেন চারে নামা মাহমুদুল হাসান জয়। যদিও তাঁর খেলা ৪১ রানের ইনিংসটি দলের তেমন কোনো অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। শেষ দিকে নাহিদুল ইসলামের ২২ রানে কোনোমতে একশ রানের কোটা পার করে খুলনা। শেষ পর্যন্ত ১১৩ রানে শেষ হয় খুলনার ইনিংস।

১১৪ রানের সহজ লক্ষ্য। তারপরও আগের দুই লো স্কোরিং ম্যাচের চিত্র সিলেট স্ট্রাইকার্সকে কিছুটা চোখ রাঙানি দিচ্ছিল বটে। সেই আতঙ্কেই কিনা, সিলেটের শুরুটাও হয় বেশ নড়বড়ে। ১০ রানেই হারিয়ে ফেলে তাদের দুই সেরা ব্যাটার – শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়ের উইকেট। তবে পরের দুই ব্যাটার জাকির হাসান আর মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে চড়ে ঠিকই লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। এ দুজনের নব্বই রানের জুটি ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় খুলনা টাইগার্সকে।

মুশফিক কিংবা জাকির কেউই অবশ্য ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারেননি। জাকির হাসান ৫০ ও মুশফিক আউট হন ব্যক্তিগত ৩৯ রানে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে বাকি কাজটা শেষ করে আসেন রায়ান বার্ল আর গুলবাদিন নাইব। তাদের কল্যাণে ১৫ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।

এ জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করল সিলেট। আর সিলেটের ঠিক বিপরীতমুখী অবস্থান অর্থাৎ তলানিতে থেকে  বিপিএল শেষ করার পথে রয়েছে খুলনা টাইগার্স।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...