আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেরা গোলরক্ষকের ট্যাগ এমিলিয়ানো মার্টিনেজের গায়ে যতটা দেখা যায় ক্লাব ফুটবলে ততটা দেখা যায় না, তখন কেন যেন বিশ্বসেরার ট্যাগটা ম্লান হয়ে যায়। হয়তো বড় কোন ক্লাবে খেলেন না দেখেই এতটা আলোচনায় আসতে পারেন না। আর সেজন্য একা হাতেই অ্যাস্টন ভিলার মত মাঝারি মানের ক্লাবকে বড় করার দায়িত্ব নিলেন তিনি।
বলোগনার বিপক্ষে এই আর্জেন্টাইন একাই দলকে টিকিয়ে রেখেছিলেন ম্যাচে, প্রতিপক্ষে সব চেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়ে অক্ষত রেখেছিলেন জাল। এরপর ফরোয়ার্ডরা গোল পেলে ২-০ ব্যবধানে জেতে অ্যাস্টন ভিলা।
মাত্র সাত মিনিটের মাথায় এই তারকা বাধ্য হয়েছিলেন দারুণ একটা সেভ দিতে, দিজ ডালিঙ্গার শট বাম দিকে ঝাঁপিয়ে আটকে দেন তিনি। প্রথমার্ধের বাকিটা সময় আরো অন্তত দুইবার গোলের সুযোগ ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি, সবমিলিয়ে পুরো ম্যাচে চারটা শট অন টার্গেট হজম করতে হয়েছে তাঁকে তবু ক্লিনশিট রাখতে পেরেছেন।
এক প্রান্তে মার্টিনেজ যখন প্রতিরক্ষা প্রাচীর হয়ে উঠেছেন অন্য প্রান্তে ‘জন’ জুটি ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়ার কাজটা করে দিয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথমভাগে জন ম্যাকগিন পেয়েছিলেন একেবারে ডানপাশের লাইন ঘেঁষে।
সেখান থেকেই দারুণ একটা শট নেন তিনি, নিজের বুদ্ধিমত্তা আর ভাগ্যের সহায়তায় পরাস্ত হন স্কোরুপসি। এগিয়ে যাওয়ার মিনিট দশেক পরে আবারো গোল করে ভিলা, এবার গোলদাতা জন ডুরান। মরগান রজার্সের ক্রস থেকে থেকে দলের লিড দ্বিগুণ করেছিলেন তিনি। জয় ততক্ষণে নিশ্চিত হয়েছিল ইংলিশ ক্লাবটির, তবে বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক ম্যাচের বাকি অংশেও সতর্ক প্রহরীর মতই ছিলেন ৷
এরই ফলে দারুণ একটা রেকর্ড গড়লো অ্যাস্টন ভিলা, মালাগা এবং লেস্টার সিটির পর মাত্র তৃতীয় ক্লাব হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচে কোন গোল না পেয়েই জয় পেলো দলটি। একদিন এমি মার্টিনেজ ঘোষণা দিয়েছিলেন ভিলাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিয়ে যাবেন। নিজের প্রতিজ্ঞা পূরণ করেই তুষ্ট হননি, নাম লেখাচ্ছেন ইতিহাসেও – ক্লাব পর্যায়েও তাই তাঁকে বিশ্বসেরা না বলার উপায় নেই আর।