ফর্মে থাকলে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের সেরা ব্যাটার তিনি। অথচ, বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের পুরোটা সময় ছিলেন নিরব। রান করতে, মনের মত একটা ইনিংস পেতে ধুকেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
শান্ত ভাল সময় থেকে মাত্র এক ইনিংস দূরে ছিলেন। আর সেটা তিনি পেয়ে গেলেন খোদ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এবারও ব্যাট করতে নেমেছিলেন নিজের কঠিন সময়ে। তানজিদ হাসান তামিম টানা দ্বিতীয়বারের মত ডাক মারলে দলের হাল ধরেন শান্ত। প্রথম ওভারে উইকেটে এসে সাজঘরে ফিরে যান ১৩ তম ওভারে। এর আগে করেন ৩৬ বলে ৪১ রান। ইনিংসে ছিল চারটি চার ও একটি ছক্কা।
তাঁর ওপর বাংলাদেশের ভরসা যতটা, তার চেয়ে আশা অনেক বেশি। দেশের যে গুটিকয়েক ক্রিকেটারের ওপর সরাসরি কোনো নির্দিষ্ট ভূমিকার জন্য বিনিয়োগ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাঁদের মধ্যে সবার ওপরে আসবে নাজমুল হোসেন শান্তর নাম।
বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটে অধিনায়ক না হওয়ার পরও শান্তকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছে বিসিবি। বিসিবির কাঠামোতে নানা ভাবে অধিনায়ক হিসেবে পরখ করা হয়েছে শান্তকে। ‘এ’ দলের পর সহ-অধিনায়কত্ব, অনেক ঘাট ঘুরে তবেই জাতীয় দলের নেতা বনে গেছেন শান্ত।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বিশ্বকাপের চার ম্যাচে শান্তর রান ছিল মাত্র ২৬ রান। অথচ, অধিনায়কত্ব ছিল টপটচ। ফিল্ডিং প্লেসমেন্ট, বোলারদের ব্যবহার করতে পারার সক্ষমতা – সব কিছুতেই শান্ত মাঠের বাইরে হচ্ছিলেন প্রশংসিত।
অধিনায়কত্বে বিশ্বমানের এই শান্তই ব্যাট হাতে মাঠে নামলে থেকে যাচ্ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। শান্তর এই অফফর্ম যথেষ্ট সমালোাচনার জন্ম দিয়ে যাচ্ছিল মাঠের বাইরে। সেই জবাবটা দেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে যুৎসই কোনো প্রতিপক্ষ আর হতেই পারে না। শান্ত সেটা করতে পেরেছেন, এবার কেবল এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পালা।