দিয়েগো সিমিওনে স্টাইল – গত এক দশক ধরে ইউরোপীয় ফুটবলে নজর রাখা প্রতিটা মানুষ জানে এর মানে। তবে কেউ যদি নতুন করে জানতে চান কিংবা স্মৃতিচারণ করতে চান তাহলে প্যারিস সেন্ট জার্মেইন বনাম অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের ম্যাচটা হতে পারে আদর্শ। স্রেফ ২৯ শতাংশ বলের দখল রেখে, স্রেফ তিনটা অন টার্গেট শট নিয়েই জয়ের হাসি হেসেছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ।
সেটাও আবার অন্তিম মুহূর্তের গোলে, ম্যাচের সম্ভাব্য শেষ টাচে। একটু এদিক ওদিক হলেই রেফারি শেষ বাঁশি বাজিয়ে দিবেন এমন সময় অ্যান্টনি গ্রিজম্যান বল নিয়ে ছুটে যান প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে।
ততক্ষণে ডি বক্সে ঢুকে পড়া অ্যাঞ্জেল কোরেরাকে খুঁজে নিতে সমস্যা হয়নি তাঁর, বাকি কাজ বাম পায়ের সাহায্যে দারুণভাবে করেছেন কোরেরা।
অথচ শুরুতে পিএসজি ছিল উড়ন্ত ছন্দে, ১৪ মিনিটের মাথায় গোল পেয়ে যান ওয়ান্ডার বয় ওয়ারেন জায়রে এমেরি। ক্লেমন্ত লেংলেটের ভুলে বিপদজনক জায়গায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন ওসমান ডেম্বলে, এরপর তাঁর নিঃস্বার্থ পাস থেকে দলকে এগিয়ে দেন এমেরি।
যদিও সমতায় ফিরতে সময় লাগেনি, চার মিনিট পরেই জিউলিয়ানো সিমিওনের ক্রস ডিফ্লেক্ট হয়ে চলে আসে নাহুয়েল মলিনার পায়ে। জোরালো শটে মলিনা খুঁজে নেন জালের ঠিকানা। গোলের বাকি গল্প তো বলা শেষ আগেই।
তবে পিএসজি-মাদ্রিদ ম্যাচে গোল ছাড়াও বলার আছে অনেক কিছু। পুরোটা সময় জুড়ে লুইস এনরিকের শিষ্যরা আধিপত্য দেখিয়েছিল। ৭১ ভাগ সময় বল দখলে রেখে তাঁরা শট নিয়ে ২২টা, যেখানে গ্রিজম্যানদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা স্রেফ চার! এছাড়া স্বাগতিক দল সবমিলিয়ে পাস খেলেছে ৭৯৩টা, সেখানে সফরকারীরা খেলেছে স্রেফ ২৬০টা!
বিস্মিত না হয়ে উপায় নেই আসলে, তবে যদি শোনেন ডেম্বলের একের পর এক গোল মিস করার কারণেই ফরাসিদের এমন হাল তাহলে হয়তো বিস্ময়ের পরিমাণ কমবে। ডেম্বলের সাথে এদিন গোল মিসের প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিলেন আশরাফ হাকিমিও – এমনটা না ঘটলে হয়তো ম্যাচের ভাগ্য আরেকরকম হতে পারতো।