ম্যাচের তখন একেবারে শেষ, রেফারি চাইলেই ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজিয়ে দিতে পারেন – ঠিক সেসময় দুর্দান্ত একটা কাউন্টার এটাকের সূচনা ঘটে রদ্রিগো ডি পলের পা থেকে। চোখের পলকে বার্সেলোনার হাইলাইন ডিফেন্স ফাঁকি দিয়ে ঢুকে পড়েন নাহুয়েল মলিনা, বলও পৌঁছে যায় তাঁর কাছে।
পরের কাজটুকু বলতে গেলে কোন বাঁধা ছাড়াই হয়েছে, মলিনার ক্রস ডি বক্সের ভেতর খুঁজে নেয় অ্যালেক্সান্ডার সরলথকে। তাতেই স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো ক্যাম্প ন্যু, এক সেকেন্ডের ব্যবধানে ভাষা হারিয়ে ফেলে পুরো গ্যালারি। ৯৬ মিনিটের সময় দলকে নাটকীয় একটা জয় এনে দেন সরলথ।
অবশ্য অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ শুরুটা করেছিল গোল খেয়েই। পেদ্রি ও গাভির চমৎকার বন্ধনের সুফল পায় বার্সেলোনা, গাভির সঙ্গে একবার বল দেয়া নেয়া করেই ডি বক্সে জায়গা বানিয়ে নেন পেদ্রি। অতঃপর ঠান্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে তিনি এগিয়ে দেন দলকে।
অবশ্য বার্সার ভাগ্য খারাপ বলতে হবে; রাফিনহা, লেওয়ানডস্কিরা ম্যাচের পরের সময়টাতে একটার পর একটা সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু জান অবলাককে দ্বিতীয়বার পরাস্ত করতে পারেননি কেউই, চীনের মহাপ্রাচীরের মতন গোলপোস্ট আগলে তিনিই ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিলেন সফরকারীদের।
দ্বিতীয়ার্ধের মিনিট দশেক পার হওয়ার পর আসে কাঙ্খিত সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। কাউন্টার এটাকে উপরে উঠার সুযোগ পেয়ে যান জিউলিয়ানো সিমিওনে। তাঁর নিচু ক্রস অবশ্য মার্ক ক্যাসাদো ক্লিয়ার করেন কিন্তু ডি বক্সের একটু বাইরে বলের দেখা পান ডি পল। কিসের কি, সেখান থেকে দুর্ধর্ষ একটা শট নিয়েই ইনাকি পেনাকে বোকা বানান তিনি।
ম্যাচের বাকি গল্প তো জানাই আছে, এর মধ্য দিয়ে ২০০৭ সালের পর এই প্রথম বছরের শেষ ম্যাচ হারের তিক্ত স্বাদ পেলো বার্সেলোনা। তাছাড়া চলতি লা লিগায় টানা তিন ম্যাচ পয়েন্ট খোয়ালো দলটি; হ্যান্সি ফ্লিক হয়তো মনে মনে পেপ গার্দিওলার কথা ভেবে শঙ্কিত হচ্ছেন আপাতত।
যদিও কাতালান জায়ান্টরা নিজেদের দুর্ভাগা ভাবতেই পারে। একটা বা দুটো নয়, এদিন গুণে গুণে ১৯টা শট নিয়েছে তাঁরা তবু একের বেশি গোল করতে পারেনি। অথচ স্রেফ পাঁচটা শট নিয়েই জয় পেয়েছে অ্যাতলেটিকো। এই জয়ে আপাতত টেবিলে সবার ওপরে উঠে গেলো তাঁরা।