অস্ট্রেলিয়া, বিশ্বকাপের পাওয়ার হাউজ

আগামী ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফেবারিট কে? স্বাগতিক ভারত নাকি আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান? কিংবা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড নাকি আগের বারের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড? পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াই বা এই সম্ভাব্য তালিকায় বাদ পড়বে কেন? রবিচন্দন অশ্বিন এবারের আসরের ফেবারিটের তালিকায় রেখেছেন এই অজিদেরকেই। 

ক্রিকেট আসরে বৈশ্বিক আসরের আগমন মানেই যেন টিম ইন্ডিয়ার পাশে বসে যায় চিরন্তন ফেবারিট তকমা। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ঘরের মাঠে এবার রোহিত শর্মাদের হাতেই বিশ্বকাপ দেখছেন অনেকে। তবে এমন ফেবারিট তত্ত্বে কিছুটা বিরক্তিই প্রকাশ করেছেন ভারতের অফস্পিনার রবিচন্দন অশ্বিন।

তাঁর মতে, ভারতকে মূলত ফেবারিট বলে প্রচার করা হয় অন্যান্য দলগুলোর স্ট্র্যাটেজি হিসেবেই। ফেবারিট তকমায় এক দলকে দিন শেষে অসম চাপের মধ্য দিয়েই যেতে হয়।

আগামী ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফেবারিট কে? স্বাগতিক ভারত নাকি আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান? কিংবা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড নাকি আগের বারের রানার্স আপ নিউজিল্যান্ড? পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াই  বা এই সম্ভাব্য তালিকায় বাদ পড়বে কেন? রবিচন্দন অশ্বিন এবারের আসরের ফেবারিটের তালিকায় রেখেছেন এই অজিদেরকেই। 

১৯৮৭, ১৯৯৬ ও ২০১১— এর আগে তিন বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ হলেও এবারই প্রথম এককভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করছে ভারত। নিজেদের মাটিতে হওয়া শেষ বিশ্বকাপটা জিতেছিল ভারতই। সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে ভারত তাই প্রত্যাশিত নামই। 

তবে অশ্বিনের মতে, পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে আলাদাভাবে সমীহ করতেই হবে। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সবাই বলছে, ভারত ফেবারিট। কিন্তু এটা আসলে ভারত দলটাকে চাপে রাখার জন্যই বলা হয়। এটা একটা স্ট্র্যাটেজিও বটে। ভারত অবশ্যই ফেবারিট। তবে অস্ট্রেলিয়া হচ্ছে পাওয়ার হাউজ। তাঁরা শেষ দুই বছরে দুটি শিরোপা জিতেছে। ২০২১ এ প্রথম বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা। এরপর এ বছরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নিপের শিরোপাও জিতেছে অজিরা।’

রবিচন্দন অবশ্য অস্ট্রেলিয়াকে পাওয়ার হাউজ বলতে গিয়ে টেনে এনেছেন ইতিহাসও। তিনি বলেন, ‘একটা সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিল ক্রিকেটের পাওয়ার হাউজ। তাঁরা প্রথম ৩ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট। যার মধ্যে দুটো শিরোপাই গিয়েছিল তাদের ঘরে। তবে ১৯৮৩ বিশ্বকাপের পরই তাঁরা নিজেদের আধিপত্য হারিয়ে ফেলে। ১৯৮৭ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন হলো। এরপর থেকেই তাদের অপরাজেয় হয়ে ওঠা শুরু। সেই ৩৬ বছর আগে বিশ্বকাপ জেতা অস্ট্রেলিয়া এখনও শক্তিমত্তার দিক দিয়ে আগের মতোই আছে। তারাই এখন ক্রিকেটের পাওয়ার হাউজ।’

এ দিকে সবার আগে বিশ্বকাপের জন্য ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। যে দলে নেই মার্নাস লাবুশানে। চমক হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা না রাখা লেগ স্পিনার তানভির সাঙ্ঘা আর অলরাউন্ডার অ্যারন হার্ডিকে। 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...