নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলো অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের রঙ যে সবুজ আরেকবার প্রমাণ করলো অজিরা। তবে ২০১৫ এবং ১৯ এর পর আরো একবার বিশ্বমঞ্চে স্বপ্নভঙ্গ হলো নিউজিল্যান্ডের।
বল হাতে দিনটা ভালো না গেলেও বিশ্বকাপ জয়ে উচ্ছ্বসিত মিশেল স্টার্ক প্রশংসায় ভাসালেন সতীর্থদের। একই সাথে প্যাট কামিন্সও জানান এই কন্ডিশনেই আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতাটা বেশ কাজে দিয়েছে তাদের।
স্টার্ক বলেন, ‘আজকের দিনটা আমার ভালো যায়নি। তবে আজকে বাকিরা দেখিয়েছে কিভাবে আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারি। ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচে ভিন্ন ভিন্ন প্লেয়াররা ম্যাচ জিতিয়েছে। গত দুই বছর ধরেই জাম্পা সাদা বলের ক্রিকেটে সেরা বোলার। আমরা জানি তাকে কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। আমাদের বোলিং ইউনিটের সবাই জানে কার ভূমিকা কি।’
আরেক পেসার কামিন্স বলেন, ‘আমরা বাড়ি ফিরে এই স্মৃতিতে ডুবে থাকবো। অস্ট্রেলিয়ায় সমর্থকরা সবাই রাত জেগে খেলা দেখেছে। এখানে আইপিএল খেলার অনেক লাভ হয়েছে। হ্যাজেলউডও বেশ দ্রুত এখানে মানিয়ে নিতে পেরেছে।’
ব্যাট হাতে ভালো টুর্নামেন্ট না গেলেও দলের সাথে থাকতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত স্টিভেন স্মিথ। একই সাথে প্রশংসায় ভাসালেন ওয়ার্নারকেও। আইপিএলে বাজে পারফরম্যান্সের পর বাদ পড়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন ওয়ার্নার ফুরিয়ে গেছেন। তবে বিশ্বমঞ্চে ঠিক ব্যাট হাতে জবাবটা দিলেন এই অজি ওপেনার।
স্মিথ বলেন, ‘এটা অনেক বড় পাওয়া। আমরা লম্বা সময় ধরেই কঠোর পরিশ্রম করেছি। সবার সাথে এখানে থাকাটা এবং একসাথে ট্রফি বাড়ি নিয়ে যাওয়াটা সম্মানের। গত দুই সপ্তাহ ধরে ওয়ার্নার দুর্দান্ত খেলেছে। অনেক মামুষই তাকে শেষ ভেবেছিলো! কিন্তু সে ফিরে এসে নতুন করে শুরু করেছে।’
প্রথমে ব্যাট করে উইলিয়ামসনের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ১৭২ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে ৪৮ বলে ৮৫ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। এরপর লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নার ও মিশেল মার্শের দাপটে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে ৮ উইকেটের বড় জয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় অজিরা।
এর আগে ২০১০ সালে ফাইনাল খেললেও ইংল্যান্ডের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় অজিদের। সেই খরা কাটিয়ে ১১ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা নিজেদের করলো অস্ট্রেলিয়া। অপরদিকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা নিউজিল্যান্ড ছুঁতে পারেনি সেই কাঙখিত ট্রফি।