মর্যাদার লড়াই অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের শুরুটা হলো হার দিয়ে। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মহারণে জয় দিয়ে দাপুটে শুরু পেলো অজিরা। ট্রাভিস হেড, প্যাট কামিন্স, না নাথান লিঁওদের দাপটে অজিদের ডেরায় ভীত গড়তে পারেননি ইংলিশরা। সিরিজের প্রথম টেস্টে নয় উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ১-০ তে এগিয়ে গেলো অজিরা।
প্রথম ইনিংসে ৫৮ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামে ইংলিশরা। সেঞ্চুরির আশায় থাকা দুই ব্যাটার জো রুট আর ডেভিড মালান দিনের শুরুতেই ফিরে যান। নাথান লায়নের বলে ৮২ রানে মালান ও ক্রিস গ্রিনের বলে ব্যক্তিগত ৮৯ রানে রুট ফিরলে ম্যাচে ফেরার আশা শেষ হয়ে যায় ইংলিশদের।
এরপর দ্রুতই ওলি পোপ ফিরলে ২৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে তখন ইংলিশরা। ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে তখনো প্রয়োজন ৪৪ রান! আগের দিন রুট-মালানের ব্যাটে এই টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখলেও দিনের শুরুতে অজি বোলারদের তান্ডবে বিধ্বস্থ ইংলিশ শিবির।
বেন স্টোকস, ওলি পোপরা কেউই ভীত গড়তে পারেননি অজিদের সামনে। জশ বাটলার ও ক্রিস ওকস চেষ্টা করলেও ইনিংস বড় করতে পারেনি। বাটলার ২৩ ও ওকস ১৬ রানে ফিরলে অজিদের জয় যখন সময়ের ব্যাপার। ওকস-বাটলারের ব্যাটেই ইনিংস ব্যবধানে হার এড়ায় ইংলিশরা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৯৭ রানেই শেষ ইংলিশরা। অজিদের পক্ষে নাথান লিঁও একাই শিকার করেন ৪ উইকেট। দিনের নায়ক অবশ্যই এই ডান হাতি অফস্পিনার
২০ রানের মামুলি এক টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। দলীয় ১৬ রানে অ্যালেক্স ক্যারি ফিরলেও মার্কাস হ্যারিসের ব্যাটে সহজ জয় পায় অজিরা। ইংলিশদের পক্ষে ওলি রবিনসন একমাত্র উইকেটটি শিকার করে।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কামিন্স-স্টার্কদের তোপে মাত্র ১৪৭ রানে গুড়িয়ে যায় ইংলিশদের প্রথম ইনিংস। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ট্রাভিস হেডের দেড়শো ও ওয়ার্নার-লাবুশেনের জোড়া ফিফটিতে ৪২৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় অজিরা। ২৭৬ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে রুট-মালানের দুর্দান্ত দুই ইনিংসের পরেও লিঁও-কামিন্সদের দাপুটে বোলিংয়ে মাত্র ২৯৭ রানে থামে ইংলিশরা। ২০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটে জয় পায় অজিরা।
এই জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। সেঞ্চুরিয়ান ট্রাভিস হেড পেলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। আসছে ১৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় টেস্ট শুরু অ্যাডিলেডে।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: ইংল্যান্ড
ইংল্যান্ড (প্রথম ইনিংস) – ১৪৭/১০ (৫০.১ ওভার); বাটলার ৩৯(৫৮), পোপ ৩৫(৭৯), হাসিব ২৫(৭৫); কামিন্স ১৩.১-৩-৩৮-৫, স্টার্ক ১২-২-৩৫-২, হ্যাজেলউড ১৩-৪-৪২-২।
ও দ্বিতীয় ইনিংস – ২৯৭/১০ (১০২.৬ ওভার); রুট ৮৯(১৬৫), মালান ৮২(১৯৫), বাটলার ২৩(৩৯); লায়ন ৩৪-৫-৯১-৪, কামিন্স ২০-৬-৫১-২, গ্রিন ১২-৩-২৩-২।
অস্ট্রেলিয়া (প্রথম ইনিংস) – ৪২৫/১০ (১০৪.৩ ওভার); হেড ১৫০(১৪৮), ওয়ার্নার ৯৪(১৭৬), লাবুশেন ৭৪(১১৭); রবিনসন ২৩-৮-৫৮-৩, উড ২৫.৩-৪-৮৫-৩, ওকস ২৫-৮-৭৬-২।
ও দ্বিতীয় ইনিংস – ২০/১ (৫.১ ওভার); মার্কাস হ্যারিস ৯(১০)*, ক্যারি ৯(২৩); রবিনসন ৩-০-১৩-১।
ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: ট্রাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া)।