বাঁ-হাতি স্পিনার পরিচয়ের আড়ালে প্রায়ই তাঁর ব্যাটিং সত্ত্বাটা আড়াল হয়ে যায়। কে জানতো, পরিচয়টা তিনি লুকিয়ে রেখেছিলেন খোদ বিশ্বকাপ মঞ্চের জন্য। সেমিফাইনালে বল হাতে নায়ক ছিলেন, এবারা ব্যাটিংয়ে ভারতের ত্রাণকর্তা হলেন অক্ষর প্যাটেল।
পাঁচ নম্বরে তিনি সচরাচর নামেন না, নামের সাধারণত ভারতের বিপদের দিনে। এমনই একটা বিপদ নেমে এসেছিল এদিন। বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে মাত্র তিন বলের মধ্যে দুই উইকেট হারায় ভারত। এরপর পঞ্চম ওভারে ফিরে যান সুরিয়াকুমার যাদবও।
সেখান থেকে শুরু হয় ভারতের ফেরার মিশন। সেই মিশনে ভারত ভরসা করে অক্ষর প্যাটেলের ওপর। এক সাথে উইকেট ধরে রাখা, তার ওপর রানের চাঁকা সচল রাখা – বার্বাডোজের ব্যাটিং উইকেটে সেই কাজটা বেশ দক্ষতার সাথেই করতে পেরেছেন অক্ষর প্যাটেল। যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন সিনিয়র ব্যাটার বিরাট কোহলি। কোহলির সাথে চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৭২ রান।
প্রতিটা বলের যোগ্যতা বুঝে ব্যাট করেছেন। ৩১ বলে ৪৭ রান করেন। টি-টোয়েন্টির আন্তর্জাতিক ময়দানে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরিটা বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন, কিন্তু বেরসিক এক রান আউট এসে কেড়ে নেয় অক্ষরের সুযোগ।
তবে, ম্যাচের যে পরিস্থিতি ছিল – সেখানে ১৫১.৬১ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে যাওয়াটা সহজ ছিল না। সেই কঠিন কাজটাই করে গেছেন প্যাটেল। একটি চারের সাথে ইনিংসে ছিল চারটি ছক্কা। এই চারটা ছক্কাই প্যাটেলের ইনিংসের হাইলাইটস। প্রতিটা ছক্কাই ভারতের স্বপ্নের পরিধি একটু একটু করে বাড়িয়েছে।
ব্যাটিংয়ে আলাদা স্পেশালিটি নেই অক্ষর প্যাটেলের। তবে, সুুবিধা হল – তাঁকে যখন প্রয়োজন তখনই নামিয়ে দেওয়া যায়। তিনি ম্যাচের মেজাজ ও দলের পরিস্থিতি বুঝে ব্যাট চালাতে জানেন। এবারও সেটাই করতে পেরেছেন অক্ষর।