বড় দুঃসময় যাচ্ছে পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার আজম খানের ক্যারিয়ারে। ভাল পারফর্ম্যান্স যেন তাঁর বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই আজম খান তাঁর খারাপ ফর্মের জন্য ভক্ত ও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের সমালোচনার মুখে ছিলেন। বিশ্বকাপ দলে তাঁর অন্তর্ভুক্তি নিয়েও ছিল প্রশ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রথম ম্যাচে আজম শূন্য রানে সাজঘরে ফিরলে আবারও সমালোচনার তোপে পড়েন তিনি।
ধারণা করা হচ্ছিল পরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে আর সুযোগ পাবেন না তিনি। কারণ ম্যাচের আগে নেট সেশনের সময় ব্যাটিং অনুশীলন থেকে বাদ পড়েছিলেন আজম। আর ম্যাচে তার প্রতিফলন দেখা যায়, শুরুর একাদশে তার জায়গায় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ইমাদ ওয়াসিমকে।
সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, উইকেটরক্ষক-ব্যাটার আজমকে রেখে দলের বাকি সবাইকে অনুশীলন করেন। সেখানে তিনি কোনো ব্যাটিং অনুশীলন পাননি। যা থেকে ধারণা করা হয় অধিনায়ক বাবর আজম ও কোচ গ্যারি কার্স্টেন এই ব্যাটারের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না।
বিশ্বকাপের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হতাশাজনক হারের পর আজম খানের দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়েই হতাশা প্রকাশ করেন ভক্তরা। এরপর দলের অনুশীলন থেকেও বাদ যায় তিনি, যার ফলে এই ক্রিকেটারের উপর আরও চাপ সৃষ্টি হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাকে হাস্যরসের পাত্রে রূপান্তরিত করে দর্শকরা।আরেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইমাম উল হক মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ট্রোলিংয়ের কারণে ভাল পারফর্ম করতে পারছেন না আজম।
সম্প্রতি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইন্সটাগ্রামের সকল পোস্ট মুছে ফেলেন আজম। অনুমান করা হয় যে তিনি তার ফিটনেস এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ভক্তদের সমালোচনা স্বীকার হয়ে এমন পদক্ষেপ নেন।
কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক মঈন খানের ছেলে বিশ্বের বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লীগে সাফল্য পেলেও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে সব সময় ব্যর্থ হয়েছেন। তিন বছর আগে তাঁর আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর থেকে ১৩ ইনিংসে মাত্র ৮৮ রান করতে সক্ষম হয়েছেন আজম খান। তার শারীরিক ফিটনেস নিয়েও ধারাবাহিকভাবে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি।