ইংলিশ পেসার মার্ক উডের এক অসাধারণ বাউন্সার, বিপরীতে নিজের বিশাল দেহের ভারসাম্য রাখতে ব্যর্থ আজম খান। তাঁর গ্লাভসকে আলতো ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটের পিছনে থাকা ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলারের হাতে। মার্ক উডের সেই বাউন্সারের এক শব্দের সংজ্ঞায়ন করতে গেলে তা হবে, বর্বর।
নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে বারবারই ব্যর্থ হচ্ছেন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার আজম। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দেখানো তাঁর আশার আলো সময়ের সাথে সাথে নিভে যাচ্ছে। নিজেকে ঠিকঠাক মেলেই ধরতে পারছেন না পাকিস্তানের জার্সিতে।
সদ্য সমাপ্ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও বেশ মলিন ছিল আজমের ব্যাট। চতুর্থ ম্যাচে ২২ গজে এসে রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন ডানহাতি এই ব্যাটার। ইংলিশ পেসার মার্ক উডের করা অসাধারণ এক বাউন্সার কাবু করে ফেলে বিশাল দেহী আজম খানকে। আউট হওয়ার আগে তিনি খরচ করেন চারটি বল। তবে শূণ্য হাতেই ফিরতে হয় তাঁকে।
বাটলার সেই ক্যাচ তালুবন্দি করার পর কিছুটা হতভম্ব হয়ে পড়েন আজম। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর আয়াম্পায়ারের কাছে রিভিউ আবেদন না করেই মাঠ ত্যাগ করেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। তাছাড়া ঐ ম্যাচে উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় হারিস রউফের বলে একটি ক্যাচও ধরতে ব্যর্থ হন তিনি।
সামগ্রিক দিক বিবেচনা করলে বলা যায়, খেই হারিয়েছেন আজম খান। সাম্প্রতিক সময়ে আজম খানের নেই কোনো উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আজম খানের এমন পারফর্ম্যান্সের এমন অবস্থা, বোর্ড কর্মকর্তাদের ভাবনার মেঘকে আরো ঘনীভূত করছে।
আসন্ন মেগা ইভেন্টে তাঁর কাছ থেকে প্রত্যাশিত পারফর্ম্যান্স না পেলে, সেটার মাশুল গুনতে হতে পারে পাকিস্তানকে। তাই আজম খানের পুরনো ফর্মে ফিরে আসা এখন সময়ের দাবী হয়ে উঠেছে।